ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নদীভাঙন রোধে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বাঁধ নির্মাণ

নদীভাঙন রোধে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বাঁধ নির্মাণ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনকবলিত চিলমারী ইউনিয়ন রক্ষায় বাম্বু বান্ডেলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্থানীয়দের উদ্যোগে নদের পশ্চিম তীরে বাঁধ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। জানা গেছে, চিলমারী ইউনিয়নের পশ্চিম তীরে বাঁধ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে দুটি কমিউনিটি ক্লিনিক, সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি জুনিয়র হাই স্কুল ও মসজিদণ্ডমাদ্রাসাসহ কয়েক হাজার বসতবাড়ি এবং শত শত একর ফসলি জমি। দীর্ঘ ২৫ বছর এই ইউনিয়ন এবং পার্শ্ববর্তী অষ্টমীরচর ইউনিয়নের প্রায় ৮ হাজার পরিবার একই সঙ্গে বসবাস করে আসছে। কিন্তু গত বছরের বন্যায় চিলমারী ইউনিয়নের পশ্চিম তীরের প্রায় ১ হাজার একর আবাদি জমি ও ১২৫টি পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বসতভিটা এবং আবাদি জমি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে পরিবারগুলো।

গতকাল সকালে চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান শাহীন এই কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান আজাদ (জামান), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আছমা বেগম চৌধুরী, থানার হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক মিলন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আবু হোসাইন সিদ্দিক রানা প্রমুখ। দীর্ঘদিন ধরে নদীভাঙন হলেও ভাঙন রোধে কোনো কাজ না হওয়ায় এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এলাকাবাসীর নিকট সহযোগিতা চান। এলাকাবাসী শ্রম এবং অর্থ দিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ভাঙনরোধে কাজ হওয়ায় খুশি নদীভাঙন কবলিত এলাকাবাসী। চিলমারী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. নূর বলেন, আমরা নদীভাঙনের কারণে একেবারে নিঃস্ব। সরকারিভাবে নদীভাঙন রোধে কোনো কাজ না হওয়ায় আমরা এলাকাবাসী এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিজ উদ্যোগে নদীভাঙন রোধে কাজ করায় আমরা খুশি। এখন আমরা নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাব। রংপুর কারমাইকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী রোকেয়া ইসলাম বলেন, বাম্বু বান্ডেলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই নদীভাঙন প্রতিরোধ বাঁধ তৈরে করা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস বাম্বু বান্ডেলিং প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে সফল হবে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বল্প ব্যয়ে নদীভাঙন রোধ করা যাবে।

চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, নদীভাঙনের কারণে আমার ইউনিয়নের হাজার হাজার পরিবার জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। এখনো চারটি ওয়ার্ড নদী ভাঙনের ঝুঁকির মধ্যে আছে। বাঁধ নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে আমার ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ৭ থেকে ৮ হাজার পরিবারসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিক, ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। আমার জন্মস্থান এটা, আমি চেষ্টা করব চরাঞ্চলের মানুষের সব ধরনের সমস্যা সমাধানে তাদের পাশে থাকতে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত