ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মাধবপুরে চা শিল্পে গোল্ডেন শাওয়ার

মাধবপুরে চা শিল্পে গোল্ডেন শাওয়ার

গেল বছর দেরিতে ২৭ এপ্রিল বৃষ্টিপাত হয়েছিল। ফলে খড়ার কারণে পোকাণ্ডমাকড় ও রোগ-বালাইয়ের কবলে পড়ে হবিগঞ্জের মাধবপুরে ৫টি চা বাগান। সেবার উৎপাদনও শুরু হয়েছিল দেরিতে। এর আগের দু’বছরও বৃষ্টিপাত হয় দেরি করে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি ও মার্চের মাঝামাঝিতে। কিন্তু এবার উৎকৃষ্ট সময়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা তিনদিন বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে চা বাগানগুলোতে সতেজ ভাব দেখা দিয়েছে। চা শিল্পে এই বৃষ্টির নাম ‘গোল্ডেন শাওয়ার’। এর প্রভাবে রুক্ষ বাগানে সবুজের আহ্বানে নতুন কুঁড়ির আগমন ঘটছে। এতে পহেলা মার্চ থেকেই তাড়াতাড়ি উৎপাদন শুরু হবে। মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া ন্যাশনাল টি কোম্পানীর চা বাগানের ব্যবস্থাপক দিপংকর সিনহা জানান, যে সকল চা বাগানে সেচ ব্যবস্থা রয়েছে তাদের চা উৎপাদন মৌসুম শুরু হয় অনেক আগে। ফিনলে কোম্পানীর চা বাগানগুলোতে এরই মধ্যে চা উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে। তবে যেসব বাগানে সেচ ব্যবস্থা নেই তাদের অপেক্ষা করতে হয় বৃষ্টির জন্য। এবার কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মৌসুম আগাম শুরু হবে। তিনি আরো জানান, গোল্ডেন শাওয়ারে ফাল্গুন ও চৈত্র মাসের যে সম্ভাব্য খড়া সেই সময়ের খড়ায় চা গাছকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে। পোকাণ্ডমাকড়ের উপদ্রব কম হবে। সাধারণত ডিসেম্বর মৌসুমের শেষে চা গাছ ছাঁটাই বা প্রোনিংয়ের পর নিয়মানুযায়ী ২-৩ মাস বাগানে চা পাতা উৎপাদন বন্ধ থাকে। ফলে চা কারখানাও অলস থাকতে হয়। সেচ সুবিধা ও বৃষ্টিপাতের কারণে নতুন কুঁড়ি গজানোর পর আনুষ্ঠানিকভাবে চা পাতা চয়নের মাধ্যমে শুরু হয় চায়ের উৎপাদন। এই সময়ের বৃষ্টি চা সংশ্লিষ্টদের জন্য এক আনন্দময় প্রাপ্তি। প্রতি বছর এই গোল্ডেন শাওয়ারের দেখা না মিললেও কয়েক বছর পর এ বছর হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া, সুরমা, জগদীশপুর, বৈকুণ্ঠপুর ও নোয়াপাড়া চা বাগানগুলোতে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে এই গোল্ডেন শাওয়ার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত