ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাদুল্লাপুরে ভেজাল গুঁড়া হলুদ-মরিচের রমরমা ব্যবসা

সাদুল্লাপুরে ভেজাল গুঁড়া হলুদ-মরিচের রমরমা ব্যবসা

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে গুঁড়া হলুদ-মরিচ তৈরির কারখানা। এসব কারখানায় ডলোচুন, ধানের কুড়া, ভুট্টার মোচা, রংসহ বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মিশিয়ে গুঁড়া হলুদ ও মরিচ বানিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে। বিশেষ করে রমজানকে ঘিরে ভেজাল এই ভোগ্যপণ্য ব্যবসা জমে উঠেছে। এতে করে হুমকির মুখের পড়েছে জনস্বাস্থ্য। সম্প্রতি সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বড় ছত্রগাছা গ্রামের নুর আলম ডিস্কো, পলাশ মিয়া, খালেক মিয়া, বকশীগঞ্জের রনি সরকার, আবু হোসেন, মধ্যপাড়ার আফছার আলী, নিজপাড়ার রফিকুল ইসলাম, ঠান্ডা মিয়া, আমবাগানের হাফিজার রহমান লাভলু, ধাপেরহাট বন্দরের দুদু হাজী ও রিপন সাহাসহ আরও একাধিক অসাধু ব্যক্তি তাদের কারখানায় ভেজাল গুঁড়া মরিচ ও হলুদ তৈরিতে তুঙ্গে উঠেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার হলুদ চাষখ্যাত এলাকা হচ্ছে ধাপেরহাট ইউনিয়ন। এখানকার অধিকাংশ কৃষক যুগ যুগ ধরে হলুদ ও মরিচ আবাদ করে আসছেন। এর ফলে সেখানে হলুদ পল্লী এলাকা হিসেবেও নামকরণ করা হয়েছে। এরই সুযোগে ধাপেরহাট এলাকায় প্রায় ১৫টি কারখানা স্থাপনে বিভিন্ন ক্ষতিকারক উপকরণ মিশিয়ে গুঁড়া হলুদ ও মরিচ গুঁড়া তৈরি করে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করা হচ্ছে। এর ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকার মালিক বনে যাচ্ছে। এসব কারখানায় মাঝেমধ্যে প্রশাসনের অভিযান চললেও থামছে না ভেজাল কারবারি। আসছে রমজানকে সামনে রেখে আরও জোরেসোরে শুরু করা হয়েছে এই ব্যবসা। এদিকে ওইসব ভেজাল গুঁড়া মরিচ ও হলুদ খেয়ে মানবদেহের জন্য মরাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, কৃষকের কাছ থেকে ১ মণ কেনা শুকনো হলুদ ও মরিচে ২৯ মণ ভেজাল উপকরণ মেশানো হচ্ছে। এসবের মধ্যে রয়েছে- ডলোচুন, ধানের কুড়া, ভুট্টার মোচা, রংসহ বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল। জড়িতদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে জানান তিনি। কারখানার মালিক রনি সরকার বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের লাইসসেন্স রয়েছে। তারপরও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর ও স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তিকে টাকা দিয়ে গুঁড়া হলুদ ও মরিচ গুঁড়া তৈরির ব্যবসা পরিচালনা করছি। এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গাইবান্ধার সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন বলেন, ভেজাল খাদ্যপণ্য প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ধাপেরহাটর এলাকার গুঁড়া হলুদ-মরিচ তৈরি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত