কয়রার শতাধিক ডিপোয় অবাধে কাঁকড়া বেচাবিক্রি

প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি

জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি দু’মাস কাঁকড়া শিকার সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু সুন্দরবনে থেমে নেই অসাধু জেলেদের কাঁকড়া শিকার। কাঁকড়া আহরণের নেপথ্যে রয়েছে কয়েকটি সিন্ডিকেট চক্র। এ চক্রটি ছোট বড় ডিপো মালিকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, কয়রা, দাকোপ, শ্যামনগরসহ শত শত ছোট-বড় কাঁকড়া ব্যবসায়ির সহহ্রাধিক দাদনভুক্ত জেলে বর্তমান প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনে অবৈধভাবে প্রবেশ করে বিপুল পরিমাণ কাঁকড়া আহরণ করে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে। গোলখালি, ঘড়িলাল, আংটিহারা, জোড়শিং, কাটকাটা, গাতিরঘেরি, ৬নং কয়রা, চরামুখা, দেউলিয়া বাজার, হড্ডা, খোড়লকাটি, বানিশান্তা, চালনা, বাজুয়া, দ্বিগরাজ মুন্সিগঞ্জ, হরিনগর, ভেটখালি, চকবারা সংলগ্ন ডিপোগুলোয় হরহামেশে চলছে কাঁকড়া বেচাবিক্রি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জোড়শিং, পাতাখালি, আংটিহারা, গোলখালি গ্রামের কয়েকজন জেলে জানায়, পারমিট ছাড়া আমরা বনের ভেতরে গিয়ে আটনে কাঁকড়া শিকার করে ডিপো মালিকদের কাছে বিক্রি করছি। কয়েকজন কাঁকড়া ব্যবসায়ী জানায়, কাঁকড়া সমিতির লোকরা জানুয়ারি মাসে ডিপো প্রতি ৪-৫ হাজার টাকা করে তাদের কাছ থেকে নিয়েছেন। একইভাবে ফেব্রুয়ারি মাসেও দিতে হয়েছে। জোড়শিং এলাকার কাঁকড়া সমিতির সভাপতি নবাব আলী বলেন, উত্তর ও দক্ষিণ বেদকাশিতে ৫২ জন কাঁকড়া ব্যবসায়ী ও তাদের ডিপো আছে। বেশ কয়েকটি ডিপো মালিকদের কাছ থেকে আদায় করা অর্থ বনরক্ষীসহ অন্যদের দিয়ে ম্যানেজ করে সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণ করতে হচ্ছে। কয়রা সদরে দিলীপ, দেবদাস, ঘড়িলাল বাজরের বিপুল, ব্রজেন, গোলখালির লুৎফর, রবিউল, কুদ্দুছ, আংটিহারায় শাহীনুর, কাটাকাটার দুলাল, প্রভাষসহ অন্যদের ডিপোয় কাঁকড়া বেচাবিক্রি হতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগীয় কর্মকর্তা ডাঃ আবু নাসের মো: মহসিন হোসেন বলেন, বর্তমানে কাঁকড়া শিকার ও আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। প্রজনন মৌসুমে বন ও ঘের কোথাও থেকে কাঁকাড়া শিকার করা দণ্ডনীয় অপরাধ। অপরাধীদের পাকড়াও করতে বন বিভাগ সদা তৎপর রয়েছে।