শ্যামনগরে উপকূলীয় এলাকায় তরমুজ চাষের প্রস্তুতি

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

উপজেলার কিছু অঞ্চলে চিংড়ি চাষ বর্জন করে তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। সে অনুযায়ী মৌসুমকে সামনে রেখে কৈখালী, রমজাননগ, ঈশ্বরীপুর ও ধুমঘাট গ্রামের তরমুজ চাষিরা এখন ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমান সময়ে চাষকৃত তরমুজ ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, রোপণকৃত তরমুজের চারা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করে যাচ্ছেন চাষিরা। প্রতিটি চারাগাছে কেউ পানি দেওয়া, কেউ বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ছিটানো আবার কেউ কেউ চারা গাছের নিচে শুকনো ঘাস বা খড় বিছানো কাজে নিয়োজিত আছেন। এ বিষয়ে বৈশখালী গ্রামের তরমুজ চাষি তাজুল মল্লিক বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজ চাষে আমাদের খরচের হারটা একটু বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ, গত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজের বীজ ও সার, কীটনাশক, চাষের সরঞ্জামের দাম অনেক অনেক বেশি। গত বছর প্রতি ৩৩ শতক (১ বিঘা) জমিতে তরবুজ চাষ করতে আমাদের ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরে বিঘা প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ হাজারের মতো খরচ হতে পারে। এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, ধান চাষের পাশাপাশি গত বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের সবজি ও তরমুজের চাষ অনেক বেশি। উপজেলায় গত বছর আনুমানিক ১২০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করা হলেও চলতি বছরে তার দিগুণ অর্থাৎ প্রায় ৯০০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। খরচ বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন বীজ, সার ও শ্রমমিকের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় চাষিদের জন্য এবার খরচের হার একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সামনের রমজানের ভেতরে যদি তরমুজ বিক্রির উপযুক্ত সময় হয় তাহলে কৃষকরা লাভবান হবে বলে আমি আশাবাদী। এদিকে বর্তমান সময়ে তরমুজ চাষিদের মধ্যে এখন সব চেয়ে বড় ভয়ের হয়ে দাঁড়িয়েছে রোপণকৃত চারাগাছে সংক্রমণ রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার।