ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কালীগঞ্জে খেতে পোকা-মাকড় নিধনে পার্চিং উৎসব

কালীগঞ্জে খেতে পোকা-মাকড় নিধনে পার্চিং উৎসব

গাজীপুরের কালীগঞ্জে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের খেতে মরা গাছের ডাল দিয়ে পাখি বসার ব্যবস্থা করে ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় নিধন পদ্ধতি (পার্চিং) ব্যবহার করায় কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের জন্য পার্চিং উৎসব হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলার ২২টি ব্লকে একযোগে পার্চিং উৎসব হয়। উৎসবে পার্চিংয়ের উপকারিতা হিসেবে খেতের ক্ষতিকর পোকা-মাকড় নিয়ন্ত্রণ, কীটনাশকের ব্যবহার কমায়, ফসলের উৎপাদন খরচ কমায় ও পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখাসহ নানা বিষয়ে কৃষকদের মধ্যে আলোচনা করা হয়। এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা থেকে কর্মচারী, কৃষক থেকে কৃষানি, গণমাধ্যমকর্মীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, ‘কালীগঞ্জ উপজেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। তাই আমাদের লক্ষ্য ওই ১০ হাজার হেক্টর বোরো ধানের জমিতে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করা। একটি মাজরা পোকা একসঙ্গে গাদা আকারে ২৫০ থেকে ৩০০টি ডিম পাড়ে। আর এই পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারে একটি ফিঙ্গে পাখি একটি মাজরা পোকার মথ খাওয়া মানে ২৫০ থেকে ৩০০টি মাজরা পোকা খেয়ে ফেলা। কারণ একটি মাজরা পোকার মথ ফুটে ২৫০ থেকে ৩০০টি ধানের শীষ ক্ষতি করে। সাধারণত এক বিঘা জমিতে পাতাবিহীন শাখা থেকে প্রশাখাযুক্ত চার থেকে পাঁচটি ডাল ধান রোপণের ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পুঁতে দিতে হয়।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত