ডিমলায় কালভার্ট নির্মাণে হাজার মানুষের ভাগ্যবদল

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারী সীমান্তবর্তী ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দরখাতা বনিকপাড়া গ্রাম দিয়ে পাঙ্গা যাওয়ার মাটির রাস্তার ওপর নির্মিত একটি বক্স কালভার্টের কারণে হাজারো মানুষের যাতায়াত ও ভাগ্যবদলে দিয়েছে। সেই সাথে দুই পারের মানুষের সহজে শহরের সাথে যোগাযোগের নতুন ব্যবস্থা সূচনা হয়েছে। গত অর্থ বছরে নন মিউনিসিপ্যাল মাস্টার প্ল্যান ও প্রণয়ন মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’র অধীনে ৩৮ লাখ ৫ শত ৩২ টাকা চুক্তি মূল্য ব্যয়ে কেবিসি কন্সট্রাকশন লিমিটেড ও ট্রিজার ইসল্যান্ড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজ শেষ করে। গত ১ জানুয়ারিতে জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় কালভার্টটি। এতে উপকারভোগী গ্রামগুলোর মানুষজন অনেক খুশি। এলাকার উত্তম কুমার জানান, বর্ষায় বোরো ধান ও ভুট্টা মৌসুমে কাদাপানি ভরে থাকা খালের উপর নির্মিত এ কালভার্ট বদলে দিয়েছে ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দরখাতা বনিকপাড়া, মাঝিয়ালির ডাঙ্গা, দক্ষিণ পাড়া ও আংশিক পাশ্ববর্তী ডোমার উপজেলার পাঙ্গা মুটুকপুর ইউনিয়নের পাঙ্গা গ্রামের সংযোগ রাস্তার পাশে বসবাসকারী মানুষের ভাগ্য। কারণ উপকারভোগী এ অঞ্চলের মানুষের উপার্জনের প্রধান উৎস হলো কৃষি। বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এখানে গোটা মৌসুমে কাঁদা পানিতে ডুবে থাকতো এখানে একটি ব্রিজ বা কালভার্ট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় দুই ইউনিয়নের মানুষের কৃষিকাজ এবং স্কুলের শিক্ষার্থীদের কয়েক কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হতো। বর্তমানে এই বক্স কালভার্টটি পাল্টে দিয়েছে এলাকার সব শ্রেণির মানুষের ভোগান্তি। ডিমলা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ভীষন ভালো লাগছে যে এলাকার দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ করেছে ডোমার ডিমলা আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আফতাব উদ্দিন সরকার, এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাস্তাসহ একটি আরসিসি বক্স কালভার্ট করে দিয়েছেন, যা ৪০ বছর ধরে অপেক্ষার অবসান হয়েছে। কালভার্টটি নির্মাণের ফলে বিস্তীর্ণ কৃষি জমিতে কৃষি যন্ত্রপাতি ট্রাক্টর, হারভেস্টার ফলানো ধান, ভুট্টা, আলু, পিঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ও পাট কেটে যানবাহন ব্যবস্থায় দুই পাড়ের মানুষের আনা-নেয়াও অনেক সহজ হয়েছে।