ঢাকা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বান্দরবানে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে সূর্যমুখী চাষ

বান্দরবানে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে সূর্যমুখী চাষ

বান্দরবানে সাথীফসল হিসেবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। আলু, বিলেতি শিম, বেগুনের সাথে সাথীফসল হিসেবে পরীক্ষামূলক আবাদ করে সফল হয়েছেন খুশি কুমার তঞ্চঙ্গ্যা। এক কেজি সূর্যমুখী ফুলের বীজ রোপণ করেছেন ৪০ শতক জমিতে। এখন প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন তার সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে আসে, দলবেঁধে ছবি তোলে। বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে- ২০২২-২৩ অর্থবছরে বান্দরবানে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ হয়েছে ৩১ দশমিক ৫ হেক্টর এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৭ দশমিক ৫ হেক্টর জায়গায় সূর্যমুখী ফুলের আবাদ করা হয়েছে। কৃষক খুশি কুমার তঞ্চঙ্গ্যা জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে ১ কেজি সূর্যমুখী ফুলের বীজ পেয়ে অক্টোবর মাসে বীজ বপন করে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ফুল ফুটতে শুরু করে। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ফুলের বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, বিলেতি শিম ডাল হিসেবে খাওয়া হয়। শিম উঠে যাওয়ার পর সূর্যমুখী ফুলের বীজ লাগানো হয়। নিজের চাষ করা সূর্যমুখী ফুলের বীজে তেল উৎপাদন করে নিজের পরিবারের চাহিদা মেটাতে এই চাষ করা হয়েছে। বপনের পর বৃষ্টির কারণে কিছু বীজ নষ্ট হওয়ায় সব বীজ অঙ্কুরোদম হয়নি। সব বীজ অঙ্কুরোদম হলে আরো বেশি লাভবান হতেন বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানান, এবার মাত্র দুই ৮০ শতক জমিতে চাষ করেছেন। আগামীতে আরও বেশি আবাদ সম্প্রসারণ করবেন। পরিবারের তেল চাহিদা মেটানো যাবে। আর এখন তো দলে দলে লোকজন সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে আসছেন। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন, আবার কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সেই ভিডিও ছেড়ে দিচ্ছেন। সূর্যমূখী ফুলের আবাদ না করে যদি তামাক চাষ করতেন তাহলে তো কেউই দেখতে আসত না বলে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন চাষি খুশি কুমার তঞ্চঙ্গ্যা- যোগ করেন তিনি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এম এম শাহ নেয়াজ জানান, জেলার বেশ কিছু জায়গায় সূর্যমুখী ফুলের আবাদ করা হচ্ছে। এর ফলন খুব ভালো হচ্ছে। তবে বাজারজাতকরণে একটু সমস্যা। বান্দরবানের কৃষকদের রাঙামাটি ও চট্টগ্রামে যোগাযোগ করে সূর্যমুখী ফুলের বীজ বাজারজাত করতে হয়েছিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত