ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চাচাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড

চাচাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড

কুমিল্লার তিতাসে চাচাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে ভাতিজাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গত মঙ্গলবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল আউয়াল উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের কৈয়ারপাড় গ্রামের আবদুর রবের ছেলে। উক্ত রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রায় কার্যকরের দাবি জানান।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি একটি ডাকাতি মামলায় আবদুল আউয়ালকে তিতাস থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ওই সালের ২০ মে আউয়াল জামিনে এসে তাকে গ্রেপ্তারের নেপথ্যে চাচা নবী হোসেনকে (৬৪) তিনি সন্দেহ করেন এবং হত্যা করার হুমকি দেন। জামিনে আসার চারদিন পর ২৪ মে সন্ধ্যা ৭টায় ভূঁইয়ার বাজার থেকে কৈয়ারপাড় বাড়ি ফেরার সময় বাতাকান্দি মোহনপুর সড়কে মৃত তালেব আলীর ছেলে ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নবী হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। ওই ঘটনায় রাতেই নিহত নবী হোসেনের ছেলে রাসেল বাদী হয়ে জ্যেঠাতো ভাই আউয়ালসহ অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করে তিতাস থানায় মামলা করেন। পলাতক অবস্থায় একই বছর ১৫ জুলাই আউয়াল স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত জামিন না দিয়ে তাকে জেলহাজতে পাঠান। পরবর্তীতে আউয়ালকে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বীরোক্তিতে ২৫ জুলাই ঘটনাস্থলের পাশের ঝোঁপঝাড় থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১২ ইঞ্চি ধারালো অংশের ১৭ ইঞ্চি ছুরিটি উদ্ধার করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম তদন্ত শেষে আউয়ালের বিরুদ্ধে একই বছরের ৩০ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২১ আগস্ট এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। মামলার বাদী মো. রাসেল বলেন, আমার বাবাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আদালতে রায়ে আমরা সন্তোষ্ট। উচ্চ আদালতে এ রায় বহাল রেখে আসামির ফাঁসি কার্যকরে দাবি জানাচ্ছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আউয়ালের পরিবার এক সদস্য জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি মজিবুর রহমান বাহার বলেন, রাষ্ট্রপক্ষে ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। তিনি আশা করেন, উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে আসামির ফাঁসি কার্যকর করবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত