ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নেত্রকোনায় এমওপি সারের সংকটের আশঙ্কা

নেত্রকোনায় এমওপি সারের সংকটের আশঙ্কা

চাহিদার অনুপাতে বরাদ্দ কম হওয়ায় নেত্রকোনায় মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সারের সংকটের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। জানা যায়, ফসল আবাদের জন্য ইউরিয়ার পাশাপাশি এমওপি (মিউরেট অব পটাশ), টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসপেট) এবং ডিএপি (ডাই এ্যামোনিয়া ফসপেট) সারের ব্যবহার হয়ে থাকে। এসবের মধ্যে এমওপি সার বেশি প্রয়োজন বলে কৃষকরা জানান। নেত্রকোনা বোরো প্রধান এলাকা। তাই এই জেলায় এমওপি সারের বরাদ্দেরও প্রয়োজন বেশি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলার বাফার গুদামে বর্তমানে ৩ হাজার ০৯১ টন এমওপি সারের মজুদ আছে। গত জানুয়ারি মাসের জন্য চাহিদা মোতাবেক ৪ হাজার ৩০৯ টন এমওপি সারের প্রয়োজন ছিল। অভিযোগে শোনা যায়, অনেক ডিলার ফেব্রুয়ারি মাস পার হয়ে গেলেও গত জানুয়ারি মাসের সার উত্তোলন করেননি। এতেও সার সংকট হয়। এদিকে জেলা সার ও বীজ মনিটিরিং কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান বোরোর বর্তমান পিক সময়ে আরো ৭ হাজার টন এমওপি সারের প্রয়োজন বলে কমিটির সাম্প্রতিক এক সভায় উত্থাপন করেন। তিনি আরো বলেন, এমওপি সারের চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম রয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর হতে বর্তমান বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এমওপি সারের ২৮ হাজার ৩০২ টন চাহিদার বিপরীতে ১১ হাজার ৯৯২ টন সার বরাদ্দ পাওয়া যায়।

বছরে ঘাটতি চাহিদার তুলনায় ১৬ হাজার ৩১০ টন। চলতি মৌসুমের জন্য বরাদ্দ আরো ৪ হাজার টন বৃদ্ধি প্রয়োজন। কৃষিবিদ মোহাইমিনুর রশিদ বলেন, এমওপি সার ব্যবহারের কারণে বোরো ফসলের রোগ ও পোকার আক্রমন কম হয়। এছাড়া চিটাও কম হয় বলে জানিয়েছেন অনেক কৃষক। নেত্রকোণা সদর উপজেলার মেদনি ইউনিয়নের বাতাইয়ারপাড়া গ্রামের কৃষক খায়রুল ইসলাম বলেন, বোরো জমিতে এই সময়ে ইউরিয়া সারের চেয়ে এমওপি সারের প্রয়োজন বেশি। এই সারের জন্য কৃষকরা যাতে সংকটে না পড়েন এবং চাহিদা মোতাবেক পেতে পারেন, সেজন্য এখনই উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। জেলা ফার্টিলাইজার কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরিদুল হক বলেন, নেত্রকোণা জেলায় কোন ধরনের সারের কোন সংকট নাই। সকল প্রকার সারের পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুদ রয়েছে। নেত্রকোণা কৃষি সম্পসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান বলেন, জেলায় কোনো প্রকার সারের জন্য যাতে বোরো আবাদে সমস্যা না হয়, সেজন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপদকালিন সময়ের জন্য সকল প্রকার সারের পর্যাপ্ত মজুতও রাখা হচ্ছে। কৃষকরা চাহিদা মোতাবেক সার পাবেন। এমওপি সারের চাহিদা মোতাবেক অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত