ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কয়রার ভাঙা রাস্তায় ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

কয়রার ভাঙা রাস্তায় ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

খুলনার কয়রা সদরসহ আশপাশের উত্তর ও দক্ষিণ বেদকাশির রাস্তাঘাট সুদীর্ঘ বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় মানুষ ও যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। খোদ উপজেলা সদরের রাস্তা, মদিনাবাদ হাইস্কুল মোড় থেকে ৪নং কয়রা সরকারি পুকুর অভিমুখী ৩ কিলোমিটার রাস্তা, দেউলিয়া বাজার হয়ে ৪নং কয়রার তছির ঢালীর বাড়ি অভিমুখী আড়াই কিলোমিটার রাস্তা, পল্লী মঙ্গল থেকে উত্তর চক কামিল মাদরাসা অভিমুখী দেড় কিলোমিটার রাস্তা, হাইস্কুল মোড় থেকে উত্তর বেদকাশির কাশিরহাট অভিমুখী ৮ কিলোমিটার রাস্তা, কালিপদ বাবুর মোড় থেকে জিয়াদের মোড় অভিমুখী দেড় কিলোমিটার রাস্তা, ৫নং কয়রা কালভার্ট হয়ে ৬নং কয়রা লঞ্চঘাট অভিমুখি রাস্তা, কাটকাটা থেকে দক্ষিণ বেদকাশির ঘড়িলাল বাজার অভিমুখী ১৩ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ সকল রাস্তার অবস্থা এতটা নাজুক যে অসুস্থ, বয়স্ক, স্কুলগামী কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিশুরা কোনো অবস্থায় নিরাপদে যাতায়াত করতে পারছে না। জরাজীর্ণ, ভাঙাচোর, ছোট বড় গর্তে ভরে ওঠা রাস্তা দিয়ে একমাত্র মোটরসাইকেল ছাড়া অন্যকোনো যানবাহনে চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও ভ্যানে জনসাধারণের হেলেদুলে ধুলাবালুয় পরিপূর্ণ রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। কয়রা সদর, উত্তর বেদকাশি ও দক্ষিণ বেদকাশি এ তিনটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের জরাজীর্ণ ভূতুড়ে এ সকল রাস্তা দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগের শেষ নেই। স্থানীয় লোকজনের একটাই প্রশ্ন, কবে নাগাদ রাস্তাঘাট মেরামত করবে কর্তৃপক্ষ, কবে অবসান ঘটবে ভোগান্তির। স্থানীয় আওয়ামী নেতা সরদার শফিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জরাজীর্ণ রাস্তা দিয়ে গতকাল সোমবার উত্তর বেদকাশি থেকে কয়রা সদরে যাওয়ার সময় জামাকাপড় ও শরীর ধুলোয় লালচে হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো: দারুল হুদার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই বছর আগে কয়েকটি রাস্তার টেন্ডার হয়েছিল। ঠিকাদার রাস্তা খুঁড়ে ফেলে রেখে চলে গেছে। অনেকের লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নুতন টেন্ডার আহ্বান করে ঠিকাদার নিযুক্ত হলে রাস্তা মেরামতের কাজ পুনরায় শুরু হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত