ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মুরাদনগরে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ

আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা
মুরাদনগরে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় সর্দি-জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। একই ঘরে আক্রান্ত হচ্ছেন একাধিক সদস্য। প্রতিদিনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে এসব রোগীর সংখ্যা। চিকিৎসকরা বলছেন, দিন ও রাতের তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে এখন ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। এই জ্বর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে একজন থেকে অন্যজনে ছড়াচ্ছে। সাধারণত তিন থেকে সাতদিন জ্বর, সর্দি ও কাশির তীব্রতা থাকছে। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ, অসুস্থ হওয়ার অন্যতম উপসর্গ জ্বর। সাধারণ জ্বর হলে দু-তিনদিনের মধ্যে এমনিতেই সেরে যায়। কিন্তু জ্বর তিনদিনের বেশি থাকলে চিকিৎসাসেবা নেওয়াটা জরুরি। সরেজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীদের ভিড়। সবচেয়ে বেশি ভিড় মেডিসিন বিভাগে। হাসপাতালের তথ্যে জানা যায়, অন্য সাধারণ সময়ের তুলনায় রোগী বেড়েছে অনেক। তাদের বেশিরভাগই জ্বর-ঠান্ডাজনিত রোগী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার শিশু চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অনেক রোগী দেখেছি। গত সপ্তাহ থেকে রোগী বাড়ছে। বেশির ভাগই জ্বর, ঠান্ডা-কাশি, ডায়রিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগী। তাদের মধ্যে শিশু ও বয়ষ্ক রোগীই বেশি। সাধারণত ঋতু পরিবর্তনের কারণেই এ ধরনের সমস্যা এখন বেশি হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এনামুল হক বলেন, দিন ও রাতের তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে এখন ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। এই জ্বর একজন থেকে অন্যজনে ছড়াচ্ছে। তিনদিনের বেশি জ্বর থাকলে অবহেলা করা উচিত নয়। পরীক্ষা করানো উচিত। তিনদিনের বেশি জ্বর থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। বিশেষত, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের বিষয়ে আরো সচেতন হওয়া উচিত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত