রমজানে এক টাকা লাভে পণ্য বিক্রির উদ্যোগ ব্যবসায়ীর

প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম। পেশায় ব্যবসায়ী। নিজ এলাকায় বছরজুড়ে শাহ আলম স্টোরে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রি করেন। কিন্তু রমজান মাস এলেই ভিন্ন কক্ষে তিনি ১ থেকে দেড় মাস বিক্রি করেন রোজাদারের প্রয়োজনীয় ইফতারসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী। এ সময়টাতে বিক্রিতেও তিনি ব্যতিক্রম। ক্রয় মূল্য থেকে অতিরিক্ত ১ টাকা লাভে বিক্রি করেন প্রতিকেজি পণ্য। রমজান উপলক্ষ্যে দরিদ্রসহ সব মানুষের জন্য এটি তার বিশেষ আয়োজন। তিনি দেশের প্রত্যেক পাড়া-মহল্লার ব্যবসায়ীদের রমজানে অতিরিক্ত মুনাফা না করে পণ্যসামগ্রী বিক্রির আহ্বান জানান। সরেজমিন পৌর এলাকার চরকুমিরা তালতলা মার্কেটে গিয়ে দেখা মেলে ব্যবসায়ী শাহ আলমের। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম মো. শাহ আলম স্টোর। সকাল থেকেই তিনি দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে পরিচালনা করেন। রমজান উপলক্ষ্যে বিশেষ আয়োজনে নিজে এবং একজন কর্মচারী নিয়ে কাজে ব্যস্ত তিনি। এরইমধ্যে ওই দোকানে ইফতার আইটেমগুলো সাজিয়ে রেখেছেন। এই ব্যবসায়ী গতকাল ক্রয় মূল্যের চাইতে ১ টাকা লাভে প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি করছেন ৯৯ টাকা, খেসারি ১০৯, চিড়া ৫৬, চিনি ১৩৯, বেসন ৮১, মুড়ি ৬৩, খেজুর দুই ধরনের একটি প্রতি কেজি ২৫৮ টাকা এবং অপরটি প্রতি কেজি ২৫৮ টাকা। ভোজ্য তেল (সয়াবিন) প্রতি লিটার বিক্রি করেন ১৪০ টাকা। ওই গ্রামের বাসিন্দা ও পণ্য ক্রয় করতে আসা আহসান উল্লাহ খান বলেন, ২০২৩ সালে রমজানের আগ থেকে শাহ আলম এই উদ্যোগ নিয়েছেন। তার উদ্যোগকে আমরা সবাই স্বাগত জানিয়েছি। এখন রমজানের সব পণ্যসামগ্রী তার কাছ থেকে ক্রয় করি। কারণ বাজারে দাম বেশি এবং আসা-যাওয়ায় সময় ব্যয় করতে হয়। ভাটিয়ালপুর এলাকার অটোরিকশা চালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১ টাকা লাভে পণ্য বিক্রির বিষয়টি খুবই ব্যতিক্রম। অনেক দূর থেকে এসে রমজানের খাদ্যসমাগ্রী ক্রয় করেন লোকজন। গরিব লোকদের জন্য খুবই ভালো হয়েছে। আমরা চাই অন্য ব্যবসায়ীরা যেন এভাবে এগিয়ে আসেন। ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, আমি অনেক বছর ধরে ব্যবসা করি। গত বছর চিন্তা করলাম এলাকার মেহনতি মানুষের জন্য কিছু করি। তাই উদ্যোগ নিলাম রমজান উপলক্ষ্যে আমি ১ টাকা লাভে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করব। এটি করতে গিয়ে গত বছর অনেক বিক্রি হয়েছে এবং এই বছরও মানুষ পণ্যসামগ্রী ক্রয় করে উপকৃত হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। আশাকরি যারা শহর ও গ্রামে বড় ব্যবসায়ী আছেন, তারাও যেন রমজান উপলক্ষ্যে ১ টাকা লাভে পণ্য বিক্রি করেন। তাহলে গরিব মানুষ এই রমজানে তৃপ্তিমতো পণ্য কিনে খেতে পারবেন।