প্রেম মানে না জাত কূল। প্রেম মানে না বাধা-বিপত্তি। হাজার মাইল দূর থেকে প্রেমের টানে প্রেমিককে বিয়ে করতে ছুটে এসেছেন মাধবপুরে। ফিলিপাইনে তরুণী জুবেলিন কাতারে চাকরি করার সুবাদে মাধবপুরের তরুণ আশিকুর রহমান মিশুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেম গভীর থেকে গভীরতর হয়ে পড়ে। প্রেমিককে পেতে ব্যাকুল হয়ে পড়ে ওই তরুণী। গত ৪ মার্চ ফিলিপাইনি এই তরুণী প্রেমিক আশিকুর রহমান মিশুরকে পেতে তার বাড়ি মাধবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ধর্মঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে চলে আসেন। কোনো কালক্ষেপণ না করে জুবেলিন হবিগঞ্জ গিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে নিচের জন্মভূমি ও ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে জুবেলিন নাম পরিববর্তন করে জান্নাত রহমান নাম রাখেন। গতকাল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিয়ে প্রত্যাশিত প্রেমিক মিশুরকে। মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর কামারহাটি গ্রামের স্কুল শিক্ষক লুৎফুর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান মিশুর কাতার প্রবাসী। কাতারে চাকরি করার সুবাদে প্রায় ৫ বছর আগে পরিচয় হয় ওই ফিলিপাইনি তরুণীর সঙ্গে। এর পরই তাদের মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি মিশুর বাংলাদেশের বাড়িতে ফিরে এলে খবর পেয়ে ওই তরুণী প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে আসেন। মাধবপুরের ছেলে ভিনদেশী মেয়ের সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ভিনদেশী তরুণীকে একনজর দেখতে আশপাশের মানুষজন বাড়িতে ভিড় করছে। তার সম্পর্কে চাচা আমিনুল ইসলাম সুমন বলেন, অন্য সব বিয়ের চেয়ে এটি ছিল ভিন্ন একটি বিয়ে। বিদেশি নব বধূকে দেখতে মানুষের ভিড় লেগেই আছে। পরিবার বলছে, ছেলের সুখে আমরাই সুখি। ভিন দেশি মেয়ে আমাদের ছেলেকে ভালোবেসে হাজার মাইল দুর থেকে এসেছে। পুরোপুরি বউয়ের মর্যাদা দিয়েই আমরা তাকে রাখব। সে তো ঠান্ডা ও শান্ত প্রকৃতির মেয়ে।