অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকে সয়লাব শ্যামনগর

অভিযান দাবি সচেতন মহলের

প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমগীর সিদ্দিকী, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)

শ্যামনগরে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো নানা অনিয়মে ভরে গেছে। নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নির্ধারিত ফি এর বেশি আদায় করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। এমন তথ্য নিয়ে প্রশ্ন মানুষের মুখে মুখে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার সতর্ক করার পরেও সংশোধন হচ্ছে না মালিক কর্তৃপক্ষ। যে কারণে অভিযানের দাবি উঠেছে। সরেজমিন দেখা যায়, শ্যামনগরে ৫০টির মতো ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার রয়েছে। এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ট্রেড লাইসেন্স নেই, নেই মূল্য তালিকা। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নেই, ল্যাবে নোংরা পরিবেশ। নেই ট্রেড লাইসেন্স নেই, বর্জ্য ব্যবস্থা ভালো নয়, ল্যাব অপরিষ্কার রয়েছে। যে কারণে অনেক বেশি বেশি টাকা আদায় করছে ক্লিনিক ও ডাযাগনস্টিক সেন্টার মালিকরা। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বিভিন্ন জেলা থেকে ডাক্তার নিয়ে আসছে এবং মোটা অংকের অর্থের লোভ দেখিয়ে তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরীক্ষা দিতে বাধ্য করছে। বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডাযাগনস্টিক সেন্টারে নামিদামি ডাক্তাদের সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া ডাক্তার এমবিবিএস, এফসিপিএস প্রথম পার্ট, শেষ পার্ট লিখে প্রতারনা করে রোগী কালেকশন করছে। এসব ক্লিনিকের পক্ষে গ্রামগঞ্জে দালাল নিযুক্ত করে রাখা হয়েছে যারা গ্রামের সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে কিছু ক্লিনিকে নিয়ে আসছে আসার সঙ্গে সঙ্গে একগাদা পরীক্ষা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোট টাকা। রিপোর্ট পেয়ে অনেক জটিল রোগ হয়েছে বলে ভয় দেখিয়ে অপারেশনে বাধ্য করছে। অপারেশন করার আগে চুক্তি করে নিচ্ছে। অপারেশন রুমে ঢুকিয়ে অনেক জটিল রোগ হয়েছে বলে রোগীর অভিভাবকদের জানানোর পর বলা হচ্ছে এটা অপারেশন না করলে ২/১ মাস পরে আরো জটিল আকার ধারণ করতে পারে অথবা মারাও যেতে পারে। অভিভাবকরা ভয় পেয়ে বাড়ি যেয়ে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি বা স্থাবর-অস্থাবর সব কিছু বেচে ক্লিনিক মালিকদের হাতে তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শ্যামনগরের কোনো ক্লিনিকের লাইসেন্স নেই ২/৩টা ক্লিনিকের ২০১৯-২০২০ সালের নবায়ন থাকলেও এখন তা নেই। শ্যামনগরে কোনো ডাযাগনস্টিক সেন্টারের ও বৈধ কাগজপত্র নেই। মডার্ন ক্লিনিক মালিক তপন বিশ্বাস বলেন, ২০১৯-২০ সালের পর আমরা সরকারি রাজস্ব দিয়ে আবেদন করেছি, অথচ এখন ও নবায়ন দেওয়া হয়নি। শ্যামনগরে সিদ্দিক উকিলের বাড়ি ভাড়া নিয়ে করা হয়েছে, অবৈধ প্রেগনেন্ট কেয়ার, যেখানে অবাধে অ্যাবর্শন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে শ্যামনগরের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জিয়াউর রহমান বলেন, দ্রুত অভিযান দেব এবং অবৈধ এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: নজিবুল আলম বলেন, অবৈধ ক্লিনিক বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সারাদেশে অভিযান চললেও শ্যামনগরে অভিযান না হওয়ায় সচেতন মহলে অভিযানের দাবি উঠেছে।