ভাণ্ডারিয়ায় রঙিন মাছ চাষ

দর্শণার্থীদের ভিড়

প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

একবার ভাসছে, আবার ডুব দিচ্ছে লাল, নীল, কমলা, বাদামি রঙের বাহারি মাছ। মন মাতানো ও চোখ জুড়ানো বাহারি রঙিন মাছের পুকুরজুড়ে লুটোপুটি দেখতে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের পুকুর মানুষের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই শত শত মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে পুকুরপাড়ে। এসব বর্ণিল সৌখিন মাছ শখের বশে প্রায় বছরখানেক আগে উপজেলা পরিষদের বড় পুকুরে চাষ শুরু করেছেন ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম। পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে টাইগার বার্ব, রোজীবার্ব, উইডো টেট্রা, শার্পে টেট্রা, সোর্ডটেল, মলি, প্লাটি, পার্ল গোরামী, রেডসিচলিড, অ্যালবিনো কই, মুনটেল মনি রেডিয়া মুনটেল মনি, প্লাটি ফিশ, অ্যাঞ্জেল, গোল্ডফিশ, ফাইটার, গোরামিসহ নানা প্রজাতির প্রায় দেড় হাজার মাছ ছাড়া হয় পুকুরে। ভাণ্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের ভেতরে প্রবেশ করলে দেখাযায় চত্বরজুড়ে সবুজের সমারোহ। সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে অপরূপ বৈচিত্র্যের ছড়িয়ে আছে অপার সৌন্দর্য। চোখ মেলে তাকালেই হৃদয় জুড়িয়ে যায়। এর সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে পরিষদের পুকুরটি। দুই পাশে সেতু দিয়ে পুকুরের মধ্যে তৈরী করা হয়েছে বসার স্থান ও শানবাঁধানো সুন্দর ঘাট। ঘাটে বসে জলরাশিতে রঙিন মাছের খেলায় চোখ জুড়িয়ে যায়। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেই নানা বয়সি মানুষ এখানে সময় কাটাতে আসে। সাধারণত অ্যাকোয়ারিয়ামের রঙিন মাছ ছোট হয়। তবে পুকুরে চাষ করা মাছগুলো আকারে বেশ বড়। তিন থেকে চার কেজি ওজনের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে এ পুকুরে। বিশাল পুকুরপাড়ের ওয়াকওয়েতে গার্ডেন টাইলস আর চারো পাশে ফুলগাছের সমারোহ। সন্ধ্যা হলেই হরেক রকম বাতির আলোর ঝলকানিতে আলোকিত হয় পুরো এলাকা। রাতের নীরবতা ভেঙে পুকুরের পানিতে লাল-সবুজ বাতি আলোয় নান্দনিক সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, শান্ত পরিবেশে হাঁটার জন্য বিশাল পুকুরের চারপাশে পায়ে হাঁটার পথ নির্মাণ করা হয়েছে। পুকুরে মাঝখারে সেতু দিয়ে শানবাঁধানো সুন্দর ঘাট রয়েছে। মানুষের বসার জন্য পুকুরের চারপাশে নির্মাণ করা হয়েছে ছোট ছোট বেঞ্চ। ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে এ পুকুরে মাছ দেখতে ছুটে আসে মানুষ। দুপুরের পর লোকজন আসা শুরু হয়ে অনেক সময় সন্ধ্যার পরও থাকেন তারা। স্থানীয় বাসিন্দা ছাইফুল ইসলাম জানান, এই পুকুরে রঙিন মাছ দেখতে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন। অনেকেই ছবি, সেলফি তুলছেন, করছে ভিডিও।