কৃষকের ঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো: ইসহাক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় এক কৃষকের বাড়িতে হামলার পর ঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, কৃষকের একটি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘরের ভিটেতে পরে আছে আগুনে পুড়া বিভিন্ন সামগ্রী।

পুড়া ধ্বংসাবশেষ থেকে কিছু বাঁচানোর চেষ্টা করছেন কৃষক পরিবার। গত শুক্রবার আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের সৈয়দ ভাকুরী গ্রামের কিতাব আলী (৬০) নামে এক কৃষকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ও ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ। ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ততক্ষণে আগুনের ভয়াবহতা কমে যায়। তারপর আমরা আগুন পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। ভুক্তভোগী কৃষক ও তার পরিবারের ভাষ্য, জমিসংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে কিবতা আলীর চাচাতো ভাই আব্দুল করিম ও তার ছেলেরা তাদের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র-সশস্ত্রে হামলা করে বাড়িতে ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে এ ঘটনাকে সাজানো নাটক বলে দাবি করছেন কিতাব আলীর চাচাতো ভাই আব্দুল করিম। আব্দুল করিম বলেন, কিতাব আলী ওরফে কিতুর সঙ্গে অনেকদিন ধরে আমাদের জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। কিতু আইনগতভাবে আমাদের সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরে নিজের ঘরে নিজে আগুন দিয়ে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। কৃষকপুত্র মো. সজিব মিয়া বলেন, ‘আমরা বাড়িতে না থাকায় সুযোগ বুঝে চাচাতো ভাই কাইয়ুমের নেতৃত্বে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। যে ঘরটিতে আগুন লাগিয়েছে, সেই ঘরটির একপাশে আমি থাকতাম। আরেক পাশে রান্না-বান্না করা হতো। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। অভিযুক্ত কাইয়ুম বলেন, ‘আমাদের সোহাগী বাজারে আমার একটি জরুরি কাজ থাকায় আমি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জুমার নামাজের প্রস্তুতি নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যাই। কিছুক্ষণ পর বাড়ি থেকে কল আসে কিতু চাচা নিজের ঘরে আগুন দিয়ে ডাকচিৎকার করছে। আমি তাড়াতাড়ি বাজার থেকে এসে দেখি তাদের বাড়িতে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ও পুলিশ এসেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের জমিসংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এনিয়ে মারামারির ঘটনায় চাচার এক ছেলে বর্তমানে জেলে আছে। এটা মূলত একটা সাজানো নাটক। তারা নিজের ঘরে নিজে আগুন দিয়ে আমাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে লিখত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তে সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।