ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রংপুরে কৃষক সমিতি ‘তিস্তা কৃষক সমাবেশ’

রংপুরে কৃষক সমিতি  ‘তিস্তা কৃষক সমাবেশ’

বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা আদায় ও বরেন্দ্র অঞ্চলে সেচের পানি বিতরণে বরেন্দ্রর অনিয়ম-হয়রানি-দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে গতকাল শনিবার দুপুরে রংপুরের শাপলা চত্বরে ‘তিস্তা কৃষক সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে সমাবেশের আয়োজন করা হলেও পুলিশের বাধার মুখে শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রংপুর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। কৃষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলতাফ হোসাইন এর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন কৃষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, সহসাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য রাগীব আহসান মুন্না, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি আমজাদ হোসেন সরকার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রংপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও গাইবান্ধা জেলা কমিটির সভাপতি মো: সাদেকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মহসিন রেজা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো: তাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির সভাপতি মো: ইয়াকুব হোসেন, ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোর্তুজা আলম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি নূর মোহাম্মদ আনসার, দিনাজপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হাসান সিদ্দিকী, কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার রায়, লালমনিরহাট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মধুসূদন রায়সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে সংহতি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি রংপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড কাফী সরকার।

সমাবেশে কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট রংপুর নীলফামারী গাইবান্ধা ও ঠাকুরগাঁও জেলার কয়েক হাজার কৃষক অংশগ্রহণ করে। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের বিশেষভাবে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারীসহ অন্যান্য জেলার কৃষকসহ সাধারণ জনগোষ্ঠী এবং এই জেলাসমূহের পরিবেশ, প্রকৃতি, প্রাণ ও জীববৈচিত্র্য তিস্তা নদীর উপর নির্ভরশীল শুষ্ক মৌসুমে বিশেষভাবে ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত তিস্তা নদী প্রায় পানিশূন্য হয়ে শুকনো বালুর রাশিতে পরিনত হয়।

এই সময়কালে নদী মাছ শূন্য হয়ে যাওয়ার মৎস্যজীবীরা চরম সংকটের মুখোমুখি হয়। সেচের পানির অভাবে কৃষি জমি বিরানভূমি হয়ে পরে। পরিবেশ, প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়। বিগত অনেক বছর ধরেই এই অঞ্চলের কৃষকরা ফসল উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে। কৃষি জমির জৈবশক্তি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। ফসল উৎপাদনে উৎপাদন খরচ লাগামহীনভাবে বেড়ে যাচ্ছে, কিন্তু কৃষক তার ফসলের লাভজনক দাম পাচ্ছে না। এই অবস্থা চলতে থাকলে দ্রুতই দেশের খাদ্য নিরাপত্তা চরম হুমকির সম্মুখীন হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত