হালুয়াঘাটে সূর্যমুখী চাষে সফল কৃষক

প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলায় চলতি মৌসুমে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৫ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে সফলতা পাচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলার গাজিরভিটা ইউনিয়নে চলতি বছর ৫ জন কৃষক ৫ বিঘা জমিতে ১ কেজি করে সূর্যমুখী ফুলের বীজ নিয়ে চাষ শুরু করেন। আবহাওয়া ও জমি চাষের অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন পাওয়ার আশা করছেন কৃষকরা।

সরেজমিন দেখা যায়, কৃষিজমিতে সূর্যমুখী ফুল হাসিমুখে সূর্যের হাসি ছড়াচ্ছে চারদিকে। হলুদ ফুল আর সবুজ গাছের অপরূপ দৃশ্য। দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ায় সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা জমির পাশে ভিড় করছেন। কেউ কেউ আবার স্মৃতি ধরে রাখতে ফুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে তুলে নিচ্ছেন ছবি। কৃষক ইব্রাহিম স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চাকরি করেন, পাশাপাশি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ১ কেজি সূর্যমুখী ফুলের বীজ নিয়ে বাড়ির পাশে ১ বিঘা জমিতে রোপণ করেন। তিনি জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবিএম লুৎফর রহমান নয়ন তাকে সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ করেছেন। বর্তমানে তার জমিতে সকল গাছে ফুল ফুটেছে। বাজার মূল্য ভালো থাকায় এ থেকে তার ভালো লাভ হবে। আরেক কৃষক সুমন জোয়ারদার বলেন, আগে কৃষি জমিতে বিভিন্ন রকম সবজির চাষ করেছি। কিন্তু সূর্যমুখী ফুলের চাষ করিনি। উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় আমি এ ফুলের চাষ করি। বর্তমানের আমার খেতে প্রতিটি গাছে ফুল ধরেছে। এক একটি ফুলের ওজন ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রাম হবে। আমি আগামীতে আরো বেশি জমিতে এ ফুলের চাষ করব। গাজিরভিটা ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবিএম লুৎফর রহমান নয়ন বলেন, আমি সবসময় কৃষকদের নতুন নতুন ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করে থাকি। এ বছর আমার এখানে পাঁচজন কৃষক সূর্যমুখী চাষ করেছে। আমি সবসময় তাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে হালুয়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ফসলের নিবিরতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রণোদনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সূর্যমুখীর বীজ দেওয়া হয়েছে। আসলে এটির মূল উদ্দেশ্য হলো কৃষকরা যদি এটি আবাদ করে তাহলে বাজারে এর যে চাহিদা ও মূল্য রয়েছে তাতে কৃষকরা অধিক পরিমাণে লাভবান হবে। এতে করে আগামীতে তারা নিজেরাই বীজ ক্রয় করে জমিতে চাষ করবে। আমাদের উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে আমরা সবসময় কৃষকদের বিভিন্ন রোগ ও পোকাণ্ডমাকড়ের আক্রমণ থেকে তাদের ফসল রক্ষায় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।