বসতঘরের সঙ্গে পুড়ে শিশুর মৃত্যু

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে গভীর রাতের আগুনে পুড়ল বসতঘর। সেই সঙ্গে পুড়ে ছাই হলো শিশু আল আমিন। উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের মো. নূরুল হকের একটি বসতঘর ও গোয়ালঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। বাড়ির মালিক মো: নূরুল হক জানান, ১টি গোয়ালঘর ১টি বাড়ি পোড়ে ছাই হয়ে যায়। আমার এক নাতিসহ একটি গরু ও ১টি ছাগল এবং নগদ ১৮ হাজার টাকা ও বাড়ির আসবাবপত্র আগুনে সব জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। নূরুল হকের স্ত্রী মদিনা বেগম জানান, ধারণা করা হচ্ছে রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুন লাগতে পারে। তিনি আরো বলেন, গত শনিবার রাত ১১টার দিকে হঠাৎ একটি ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে মুহূর্তেই আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। শিশুর বাবা জুয়েল মিয়া বলেন, আগুন লাগার আগে কখন যে আমার বাচ্চা ছেলে আল আমিন ঘরের ভেতরে ছিল আমরা কেউ বুঝতে পারি নাই। আমার অবুঝ বাচ্চাটা এই ভাবে আগুনে পুরে মারা গেছে, এটা আমি মানতে পারতাছি না। ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, আগুন লাগে রাত ১১টার দিকে। আমাদের খবর দেওয়া হয় ১১টা ৩২ এর দিকে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আগুন নিভে গেছে। ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, রান্নাঘরের চুলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে গোয়ালঘরে এক শিশু, একটি গুরু ও ছাগল পুড়ে মারা যায়। পরে আগুন বসতবাড়িতে ছড়িয়ে যায়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। তখন জুয়েল মিয়ার বাচ্চা ছেলে আল আমিন ঘরের ভেতরে ছিল কেউ জানত না। পরে খাটের নিচে ছেলের লাশ পাওয়া যায়।