ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কুষ্টিয়ায় চার কিমি. এলাকাজুড়ে আগুন

দুই হাজার পানবরজ পুড়ে ছাই
কুষ্টিয়ায় চার কিমি. এলাকাজুড়ে আগুন

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অগ্নিকাণ্ডে কয়েক হাজার বিঘা জমির পানের বরজ পুড়ে গেছে। ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে দুই হাজারেরও বেশি পানচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বরজের পাশাপাশি গমসহ অন্যান্য ফসল পুড়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু বাড়িও রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকারও বেশি ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। গতকাল দুপুরে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদী-তীরবর্তী রায়টা, নিশ্চিন্দ্র পাড়া, মাধবপুর, গোসাইপাড়া গ্রামের পানবরজে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। পরে ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে কুষ্টিয়া সদর থানা, মিরপুর উপজেলা ও ঈশ্বরদী উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের আরো তিনটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর কুষ্টিয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান মিঠু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকাশ কুমার কুন্ডু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পাথর ঘাট এলাকার পানবরজ থেকে এ আগুনের সূত্রপাত বলে জানা গেছে। পরে আগুন গোসাইপাড়া, রায়টা, মাধবপুর, নিশ্চিন্দ্রপুর পাড়াসহ আশপাশের গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ২ হাজারের বেশি পানচাষির কয়েক হাজার পানবরজ আগুনে ভস্মীভূত হয়। বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন বলেন, অগ্নিকাণ্ডে পানচাষি ও এলাকার মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। এ অঞ্চলের অর্থনীতি নির্ভর করে পানচাষের ওপর। এ ক্ষতি সহজে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সরকারি সহায়তা প্রয়োজন। ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, রায়টা পাথরঘাট এলাকায় পানের বরজে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু বাতাসে আগুনের লেলিহান শিখার তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে তা আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া সদর, মিরপুর ও ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা চলছে। ভেড়ামারা ইউএনও আকাশ কুমার কুন্ডু বলেন, অগ্নিকাণ্ডে যেসব চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে সহায়তা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত