ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টগড়া-চরখালী ফেরি চলাচল বন্ধ

ভোগান্তিতে ১১ রুটের যাত্রী
টগড়া-চরখালী ফেরি চলাচল বন্ধ

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী ও ভান্ডারিয়ার মধ্যবর্তী কঁচা নদীর টগড়া চরখালী ফেরির পন্টুন ও গ্যাংওয়ে লাইটার জাহাজের ধাক্কায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গত শনিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে মঠবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা এম ভি বলেশ্বর-১ নামের লাইটার জাহাজটি হঠাৎ ফেরির পন্টুনের উপরে হামলে পড়ে।

এ সময় পন্টুনের সঙ্গে নোঙ্গর করা ফেরিতে যানবাহন উঠছিল। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। গতকাল দুপুর পর্যন্ত পন্টুন ও গ্যাংওয়ের চলাচল স্বাভাবিক করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

ফলে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল। ভোগান্তিতে রয়েছে এই পথে যাতায়াতকারী ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা, ভান্ডারিয়ারসহ ১১ রুটের যাত্রীরা। পন্টুনে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জাহাজটিকে কাউখালীতে আটক করা হয় বলে জানা গেছে। ফেরি বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে নদী পাড়ি দিতে হচ্ছে যাত্রীদের। এক্ষেত্রে ট্রলার মালিকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। পন্টুন দিয়ে যাত্রী না উঠতে পারায় তাদের নামিয়ে দেয়া হচ্ছে, চরখালী বিসমিল্লাহ চত্বর সংলগ্ন বালুর মাঠে। এক্ষেত্রে মোটরসাইকেল প্রতি ১৫০ টাকা, যাত্রী প্রতি ২০ টাকা আদায় করছে ট্রলার মালিকরা।

প্রতিটি ট্রলারে ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রী বহন করছেন তারা। ন্যূনতম ১০০ যাত্রী না হওয়া পর্যন্ত তারা ট্রলার ছাড়ছেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে। ট্রলার মালিক আব্দুল হক জানান, আমাদের ট্রলারে ২০০ যাত্রীর ধারণক্ষমতা রয়েছে। আমরা তার থেকে কম যাত্রী ট্রলারে তুলছি। মোটরসাইকেল প্রতি ১০০ টাকা নিচ্ছি। আর ঘাটে তুলতে দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা।

পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যসহকারী হায়দার আলী ডাকুয়া জানান, পন্টুন ও গ্যাংওয়ের মেরামত কাজ চলছে। আজ বিকালের পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা সম্ভব হতে পারে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত