শ্যামনগরে খাল উন্মুক্ত করার দাবি

প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের নয়নখালী, চরানদী, বালিয়াখালী খাল প্রভাবশালীরা দখলে রেখে মাছ চাষ করায় অসহায় মৎস্য জীবীরা পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে জীবন অতিবাহিত করছেন। এসব সরকারি খালগুলো উন্মুক্ত করার দাবি উঠেছে সর্ব মহলে। এলাকাবাসী ও মৎস্যজীবীরা জানান, কাশিমাড়ী ইউনিয়নের হাজার হাজার বিঘা জমির পানি নিষ্কাশন হয় বালিয়া খালী, চরানদী ও নয়নখালী খাল দিয়ে। এসব খালের দুই পাশের মানুষ অন্তত ২০ হাজার বিঘা জমিতে ধান চাষ করে এবং মৎস্যজীবী সম্প্রদায় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। বর্তমানে এসব খাল হামিদগাজী, জলিল গাজী, রাজ্জাক প্রভাব খাটিয়ে নোনা পানি তুলে মাছ চাষ করায় ২০ হাজার বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে চাষিরা। এ ছাড়া মৎস্যজীবীরা তাদের বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে জীবিকার তাড়নায় অন্যত্র পাড়ি জমাচ্ছেন। ধান চাষি সফেদ আলী জানান, আমার ৬ বিঘা জমি রয়েছে যাতে ধান চাষ করে সারা বছরের খাবার জোগাড় হয় তাতে ছেলে মেয়েদের পড়ার খরচ জোগাতে হয়। প্রভাবশালীরা এসব খাল দখল করায় ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। এখন ভারতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। কাশিমাড়ী গ্রামের সাধন জানান, বাপ-দাদার আমল থেকে খালে মাছ ধরে বিক্রি করি তাতে জীবন কোনো রকম চলে। কিন্তু খাল দখল করে নিয়ে নোনা পানি তোলায় ছেলে মেয়েদের নিয়ে জীবিকার তাড়নায় যশোরে চলে যাচ্ছি। নয়ন খালীর খালপাড়ের কৃষক আসাদ জানান, বাপ-দাদার সময় থেকে ২ বিঘা জমিতে সবজি চাষ করে তাতেই জীবিকা নির্বাহসহ ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার খরচ জোগাই। এখন নোনা পানি তোলায় চাষ করতে না পেরে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়েছি। এলাকাবাসী জানান, অনেকেই ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিয়েছি তিনি কোনো কাজ করেননি। এ ব্যাপারে খাল দখলকারীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা আদালতে মামলা করে কাগজপত্র পেয়েছি। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা রেজাউল জানান, প্রভাবশালীরা সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে দখল করে রেখেছে। এ ব্যাপারে শ্যামনগর সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) আসাদুজ্জামান বলেন, অবৈধভাবে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব এবং খাল উন্মুক্ত করে দেব। এদিকে ভুক্তভোগীরা জানান, সরকার পদক্ষেপ না নিলে জনসাধারণকে সাথে নিয়ে আমরা খালগুলো উন্মুক্ত করব।