ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনের দাফন সম্পন্ন

শোকে বাকরুদ্ধ পরিবার
সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনের দাফন সম্পন্ন

অবশেষে মৃত্যুর পর নাম পরিচয়ের জটিলতা কাটিয়ে ১১ দিন পর রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যাওয়া অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুন প্রকৃত নাম নিয়ে সবুজ শেখের পরিবারে ফিরল সাংবাদিক বৃষ্টির নিথর দেহ। গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানেই দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে তাকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর আসল নাম বৃষ্টি খাতুন। গ্রামের বাড়িতে মরদেহ পৌঁছানোর পর কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। এ সময় বৃষ্টির বাবা-মা বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। জানা যায়, রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যাওয়া অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ ১১ দিন পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে সিআইডি। গত সোমবার বিকাল ৩টার দিকে বৃষ্টি খাতুনের বাবা সবুজ শেখের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এর আগে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তার মরদেহ শনাক্ত করা হয়। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে বৃষ্টির ডিএনএ। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা যান বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি মূলত মুসলিম পরিবারের সন্তান। কিন্তু অভিশ্রুতি নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর পর রমনা মন্দিরের পুরোহিত বৃষ্টিকে সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং সবুজ শেখ ও বিউটি খাতুন নিজের সন্তান বলে দাবি করেন। ধর্ম পরিচয় নিয়ে চারিদিকে শুরু হয় নানা আলোচনা সমালোচনা। মরদেহ হস্তান্তর আটকে দেওয়া হয়। মরদেহ শনাক্তে নেওয়া হয় ডিএনএ নমুনা। নমুনা নেওয়ার ১১ দিন পর বৃষ্টির ডিএনএর সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলেছে। বৃষ্টির বাবা সবুজ শেখ বলেন, আমি আমার মেয়ের মরদেহ ফিরে পেয়েছি। তাকে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের পশ্চিমপাড়ায়। কলেজের সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন। উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনে ৪৬ জন নিহত হন। তাদের ৪৪ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর মরদেহের একাধিক দাবিদার থাকায় তার ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত