ধোবাউড়ায় একসময় রক্তলাল সৌন্দর্যে ভরা শিমুল ফুলের ছড়াছড়ি ছিল। শীতের শেষে নয়নাভিরাম এসব শিমুল ফুলের পাঁপড়িতে রঙিন হয়ে প্রকৃতি হয়ে উঠতো রঙিন। রাস্তার পাশে শিমুল ফুলে প্রকৃতি সাজত অপরূপ রূপে। জানান দিত ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। আবহমান গ্রামবাংলার সেই চেনা রূপটি ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে ধোবাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে। বসন্তের এই সময়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কোথাও তেমন কোনো শিমুল গাছ নেই। দুয়েক জায়গায় দেখা মিললেও চোখে পড়ে না সেই চোখ ধাঁধানো গাঢ় লাল রঙের শিমুল ফুল। কয়েক বছর আগেও উপজেলার সীমান্ত পাহাড়ি এলাকা এবং প্রত্যন্ত এলাকার অধিকাংশ রাস্তায় কিংবা বাড়ির আনাচে কানাচে শিমুল গাছ দেখা যেত। কিন্তু এখন চোখে পড়ে না চিরচেনা শিমুল গাছ। কেটে ফেলা আর বীজ বপন না করায় শিমুল গাছের অস্তিত্বই এখন বিলিনের পথে। এ গাছকে তুচ্ছ মনে করে বিনা কারণে কেটে ফেলছে। শিমুল গাছ উজাড় হওয়ার ফলে পরিবেশের উপরে পড়েছে বিরূপ প্রভাব। এ গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় কাক, কোকিল, চিল, বকসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি বাসা বেঁধে বসবাস করত।