ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাজার মনিটরিং কমিটির সঙ্গে ব্যবসায়ীদের লুকোচুরি

বাজার মনিটরিং কমিটির সঙ্গে ব্যবসায়ীদের লুকোচুরি

রোজার প্রথম দিন থেকেই মাছ-মাংসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বাজার ঊর্ধ্বগতির দিকে। খেজুর, বেগুন, ছোলা, ডাল, চিনি ও ফলসহ রোজায় ব্যবহৃত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। অস্থির বাজারে পণ্য কিনতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছে ক্রেতারা। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বাজার মনিটরিং সেল বা কমিটি তৎপরতা চালাচ্ছে। কিন্তু কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ী মনিটরিং কমিটির সাথে লুকোচুরি খেলছে। কমিটি চলে যাওয়ার পরই মূল্যবৃদ্ধিসহ মূল্য তালিকা নামিয়ে ফেলছে। এছাড়া ৯০ শতাংশ ব্যবসায়ী মূল্য তালিকা লাগাননি। কিছু মাংস ব্যবসায়ী বাজার মনিটরিং সেল চলে যাওয়ার পর গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধি করে দিচ্ছে। গত মঙ্গলবার দিনাজপুরের এনএ মার্কেট, চকবাজার, পুলহাট বাজার, রামনগর বাজারসহ বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ইফতারের প্রধান খাদ্য খেজুর ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম চাচ্ছে। মরিয়ম ও আজুবা কোনো দোকানে ১০০০ টাকা আবার কোনো দোকানে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ডায়াস, নাকাল, সাহারা, লুলু, খেজুর কোন দোকানে ৪০০ টাকা আবার কোনো দোকানে ৪২০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রোজার আগের দিন ছোলা বুট ১০০ টাকা হলেও পরদিন অর্থাৎ প্রথম রোজায় ১১০ টাকা, খেসারির ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, এছাড়াও পেঁয়াজ ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, গ্রাসকাপ ২৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, কাতলা ৩৮০ থেকে ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা, সোনালী ৩১০ টাকা, ব্রয়লার ২১০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রশাসন ৭০০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও ব্যবসায়ীরা ৭৫০ টাকা বিক্রি করছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত