ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফসল রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ

নির্ধারিত সময়ে কাজ সমাপ্ত
ফসল রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ

চলতি বোরো মৌসুমে কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর অধ্যুষিত নয়টি উপজেলায় ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে নির্ধারিত সময়ে। এতে করে স্বস্তিতে রয়েছেন জেলার হাওরাঞ্চলের বোরো চাষিরা। পানি উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়িত এসব বাঁধের কাজে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তদারকিতে থাকা জেলা প্রশাসক বলছেন, আগাম বন্যা থেকে হাওরাঞ্চলের কৃষকদের বোরো ফসল বাঁচাতে কার্যকরী ভুমিকা রাখবে এই বাঁধগুলো। কিশোরগঞ্জ জেলার প্রায় দেড় হাজার বর্গকিলোমিটার হাওরাঞ্চলের দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে এখন সবুজের সমারোহ। হাওরের প্রধান ফসল বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। ২০১৭ সালে কিশোরগঞ্জের হাওর পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে পানির নিচে তলিয়ে যায় কৃষকের হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমির বোরো ধান। এরপর, ২০১৮ সাল থেকে হাওরের কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষায় বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। চলতি বোরো মৌসুমে জেলার হাওর অধ্যুষিত ৯টি উপজেলায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪২ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামতের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করায় স্বস্তিতে হাওরাঞ্চলের কৃষক। জেলার শতভাগ হাওর অধ্যুষিত ইটনা উপজেলার কুনিয়ার হাওরের হাওরের কৃষক জামাল মিয়া বলেন, প্রতি বছর বোরো ধান চাষ করে আমাদের একটাই ভয় থাকে পানিতে হাওর তলিয়ে যায়। আমাদের একটাই ফসল কাটতে পারি না, খুব চিন্তায় থাকি। এই বাঁধ হওয়ার পর থেকে সুন্দর করে ফসল কাটতে পারি। এ বছর বাঁধ খুব মজবুত হয়েছে, তাই আমাদের চিন্তা নেই। সুন্দর মতে ফসল কাটতে পারব। এছাড়াও জেলার শতভাগ হাওর অধ্যুষিত মিঠামইন উপজেলার বড় হাওরের কৃষক জমির উদ্দিন বলেন, এই হাওরে আমি দুই কানি জমিতে বোরো ধান লাগিযেছি। ধানের গাছ খুব সুন্দর হয়েছে। এবার বাঁধ মজবুত হয়েছে, আগাম বন্যা হলেও পানি হাওরে ঢুকবেনা। নিশ্চিন্তে আছি, আল্লাহ রহমত করলে ধান কেটে বাঁধের উপর দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবো। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাঁধগুলোর মাটি ভরাট, ঘাস লাগানোর কাজ সম্পূর্ণ শেষ। প্রতিটি নদী মোহনায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে, আগাম উজানের ঢল থেকে ফসল রক্ষায় রাখা হয়েছে বাড়তি নজরদারি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত