হলুদ ঝাড়া মেশিনের শব্দে দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নটি হলুদের রাজ্য হিসেবে পরিচিত। এখানকার উৎপাদিত শুকনো হলুদগুলো গুড়া করার আগেই মেশিনে পরিষ্কার করতে হয়। এমনি একটি শ্যালোচালিত মেশিন স্থাপন করা হয়েছে বড় ছত্রগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে। আর এই মেশিনের বিকট শব্দ ও ধুলোয় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। একইসাথে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। সম্প্রতি সরেজমিন গিয়ে এমনি এক চিত্র দেখা গেছে- ধাপেরহাট ইউনিয়নের ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এ স্কুলটির পাশেই হলুদ ঝাড়া মেশিন স্থাপন করেছেন বড় ছত্রগাছা গ্রামের মৃত সদিয়াজ্জামানের ছেলে শফিকুল ইসলাম। তার এই বাণিজ্যিক মেশিনের বিকট শব্দ আর ধুলাতে এলাকার চারপাশের পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। সেই সঙ্গে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। স্থানীয়রা জানান, প্রায় তিন বছর আগে শফিকুল ইসলাম নামের এক অসাধু ব্যক্তি বাণিজ্যিকভাবে ওই স্থানে হলুদ পরিষ্কার করা জন্য একটি শ্যালোচালিত মেশিন বসান। এলাকার কৃষকদের উৎপাদন করা শুকনো হলুদগুলো এ মেশিনে পরিষ্কার করা হয়। তারপর তারা অন্যত্র নিয়ে গুড়া করেন। কিন্তু জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ও বিদ্যালয়ের পাশে অবৈধভাবে মেশিন বসিয়ে হলুদ ঝাড়ার কাজ চলছে। এসব কাজ করার সময় বিকট শব্দ ও ধুলোয় অন্ধকার হয়ে যায় রাস্তাঘাট এবং আশপাশের ঘরবাড়ি। বিশেষ করে চরম বিপাকে পড়েছে, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে ওই স্কুলের চুতুর্থ শ্রেণির ছাত্র বলেন, হলুদ ঝাড়া মেশিনের কারণে আমাদের বিদ্যালয়ে খুব ধুলা ও শব্দ আসে। পড়াশোনায় মন বসে না। মাঠে খেলতে পারি না। আর মেশিনের অধিক ধুলোয় ক্লাসের বেঞ্চে বসা দুষ্কর। ছত্রগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ এম সাজু মিয়া জানান, তাদের স্কুলে ১২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। স্কুল চলাকালীন সময়ে ওই মেশিনটি যখন চালু করা হয়, তখন বিকট শব্দে পাঠদান করা যায় না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি দরকার। এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) খায়রুল ইসলাম বলেন, ওই বিদ্যালয়ের পাশে হলুদ ঝাড়া মেশিনের বিকট শব্দের ব্যাপারটি জানা নেই। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।