ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ডিমলায় ধুম-নদীর উপর নির্মিত বক্স কালভার্টের বেহাল দশা

ডিমলায় ধুম-নদীর উপর নির্মিত বক্স কালভার্টের বেহাল দশা

নীলফামারীর ডিমলায় ধুম-নদীর উপর নির্মিত বক্স কালভার্টটির বেহাল দশা। সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পশ্চিম পার্শ্বে ধুমনদীর উপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ বক্স কালভার্টটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সর্বস্তরের জনগণ। বক্স কালভার্টটির দুই পাশ ধসে গেছে। এতোটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে এটি আর পূর্ণসংস্কার করা সম্ভব নয়। কালভার্টটির একপাশে খালিশা চাপানি ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিক, ডালিয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, ডালিয়া শিশু নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আল-মদিনা মডেল মাদ্রাসা, গোডাউনের হাট, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডালিয়া নতুন বাজার, ডালিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অপর দিকে কাকিনা, ছোটখাতাসহ আরো কয়েকটি গ্রাম। এলাকাবাসীর দাবি আর বক্স কালভার্ট নয়, নতুন করে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হোক সেখানে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান, খালিশা চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পার্শ্বে ধুম-নদীর ওপর নির্মিত এই কালভার্টটি এখন পথচারীদের জন্য মরণফাঁদ। পথচারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয়।

ইউপি সদস্য নওশাদ আলী বলেন, গত কয়েক বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া অপরিকল্পিতভাবে নদীটি খনন করেন। ফলে এই বক্স কালভার্টসহ আরো কয়েকটি ব্রিজ দুই দিকে ধসে পড়ে। এত দীর্ঘ সময়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড অথবা এলজিইডি এটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। স্থানীয় লোকজন ঝুঁকি নিয়ে কালভার্টের উপর দিয়ে যাতায়াত করছে। ভারী যানবাহন যাতায়াত করলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

কালভার্ট সংলগ্ন স’মিলের কর্মচারী এরশাদ, ছালাম বলেন, ওই কালভার্টের উপর দিয়ে আমরা নিয়মিত যাতায়াত করি। কালভার্টের দুইপাশ ধসে যাওয়ায় যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

ডালিয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র পরিমল চক্রবর্তী বলেন, অটোবাইকে অথবা ভ্যান গাড়িতে চড়ে আমরা ভয়ে ভয়ে কালভার্টটি পার হয়ে স্কুলে যাই। অনেক সময় ভ্যান যেতে চায় না, তাই হেঁটেও যেতে হয়।

খালিশা চাপানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান সরকার বলেন, গোডাউনের হাট, কাকিনা, জরিনার বাজার, ডালিয়া নতুন বাজারসহ অত্যন্ত ১০/১২টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করে। কালভার্টটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এসব গ্রামের হাজারও মানুষ বিপাকে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি ভেঙে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি ইউনিয়নবাসির। এ নিয়ে উপজেলায় মাসিক উন্নয়ন সভায় একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

ডিমলা উপজেলা প্রকৌশলী মো. শফিউল ইসলাম বলেন, ধুম-নদীর ওই জায়গায় ব্রিজ নির্মাণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করি চলতি অর্থবছরে কালভার্টটি ভেঙে নতুন ব্রিজের কাজ শুরু করতে পারব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত