ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মধুখালীতে হিন্দু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ

মধুখালীতে হিন্দু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে কামারখালী বাজারের ডাকা বাংেলা সংলগ্ন এক হিন্দু পরিবারের ১৫ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের খলিল মোল্যা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। জমির মালিক দাবিদার সোলার সাহা এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মধুখালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর দুটি অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মাঝে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে অভিযোগকারী সোলার সাহা বলেন, দুষ্কৃতকারিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ও তাদের ভয়ভীতি ও হুমকির কারণে নিজ জমিতে ফিরতে পারছেন না তিনি। তিনি আরো জানান, তার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ক্রয়সূত্রে বৈধভাবেই জমির মালিক। বাবা-মারা যাওয়ার কারণে এবং আমি কামারখালীতে না থাকার সুযোগে দুষ্কৃতকারিরা তার জমি দখল করে নিয়েছে। তিনি এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এবং প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায় কামারখালী বাজার ডাকবাংলা সংলগ্ন ৭নং ওয়ার্ডে মৌজা জে এল নং- ০৮ কামারখালী, বিএস খতিয়ান-১১৯, দাগ নং-১২৬ এর ১৬.২৫ শতাংশের মধ্যে ১৫ শতাংশের জমি ক্রয়সূত্রে মালিক হন বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত দ্বিজেন্দ্রনাথ সাহা। কিন্তু তার ছেলে সোলার সাহা বলেন, আমার বাবা দিজেন্দ্রনাথ সাহা ক্রয়সূত্রে মালিক। স্থানীয়রা আরো বলেন, বিবাদীর দখলকৃত জমি দ্বিজেন্দ্রনাথ সাহা’র। তিনি মারা যাওয়ার পর জমি দ্বিজেন্দ্রনাথ সাহা’র ছেলে সোলার সাহা ভোগদখল করে আসছেন। ১৫ মার্চ শুক্রবার সকালে আড়পাড়া ইউনিয়নের মধ্য আড়পাড়া গ্রামের খলিল মোল্যাসহ কতিপয় দুষ্কৃতকারি জমিতে টিন দিয়ে ঘিরে দখল করে নেয়। জমি দখলের বিষয়ে অভিযুক্ত খলিল মোল্যা সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন আমি ক্রয়সূত্রে মালিক। মধুখালী উপজেলার কোড়কদি ইউনিয়নের রেনু কুমার সার্নাল কাছে থেকে দলিল মূলে তিন দাগে ৬.১১ শতাংশ ক্রয় করেছি। দলিল ও মিউটেশনে আছে। আমি আমার জমি বুঝে না পাওয়ার দরুন ১২৬ নং দাগে আমার জমি থাকায় ১৫ শতাংশ জমির মধ্যে ৬.১১ শতাংশ জমি ঘিরে নিয়েছি আমার জমি বুঝে পাওয়ার জন্য। এ বিষয়ে কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন চৌধুরী ইরান বলেন যারা অন্যায়ভাবে কাগজপত্র ছাড়া একজনের জমি আরেকজন দখল করে এদের আইনের আওতায় এনে বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন। মধুখালী থানার ওসি মিরাজ হোসেন জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি দখল ও হুমকির বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত