সুই সুতোয় স্বপ্ন বুনেন রামগঞ্জ ইছাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের নারীরা

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

বাংলাদেশের সুই সুতায় কাজ বা নকশিকাঁথার সুনাম রয়েছে দীর্ঘ সময় থেকে। সুই সুতোর কারিগরের অধিকাংশই মহিলা। কাপড়ে সুই সুতোর বুনন তুলে ফুলসহ বিভিন্ন নকশা আঁকা কাঁথার রয়েছে হরেক মূল্য।

হাতে তৈরি নকশিকাঁথা বা শীতলপাটির সুনাম প্রযুক্তির আগ্রাসণে কিছুটা ম্লান হতে বসলেও বর্তমান সরকারের সময় যুব সম্প্রদায়কে কর্মক্ষম করে তুলতে নেয়া হয়েছে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ।

নারীদের এমনই কর্ম প্রচেষ্টার দেখা মিলবে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পে। এখানের নারীরা সুই সুতোয় স্বপ্ন বুনেন।

শখের বশে নয়; জীবনের তাগিদে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত নারীরা বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ করছেন। দল বেঁধে নারীরা আশ্রয়ণ প্রকল্প সংলগ্ন মাঠে বসেই রঙিন সুতো কাপড়ে বুনে তৈরি করছেন নকশিকাঁথা, কেউ বা বাচ্চাদের জামা তৈরিতে ব্যস্ত। কেউ বানাচ্ছেন শপিংব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্য।

নারীদের এভাবে উৎপাদনমুখী বা স্বাবলম্বি করে গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টায় ব্যস্ত রয়েছেন রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শারমিন ইসলাম। রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইছাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের স্বাবলম্বী করতে ৪১ জন নারীকে দেয়া হচ্ছে সেলাই প্রশিক্ষণ। কেউ ব্যাগ বানানো শিখছে, কেউ নকশিকাঁথায় সেলাই করা শিখছে, কেউ আবার সেলাই মেশিন চালিয়ে তৈরি করছেন বিভিন্ন পোশাক। এ প্রশিক্ষণে যারা ভালো করবেন, তাদের বিনামূল্যে দেয়া হবে সরকারি সেলাই মেশিন। এছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে তৈরিকৃত নকশিকাঁথা, শপিং ব্যাগসহ তৈরি পণ্য অনলাইনসহ বিভিন্ন দোকানপাটে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শারমিন ইসলাম।

সংশপ্তক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ কাজে রামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। গতকাল বিকালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কাজ দেখতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শারমিন ইসলাম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমির হোসেন খাঁন রামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও রামগঞ্জ ব্লাড ডোনারস ক্লাবের সভাপতি, মাহমুদ ফারুক, সংশপ্তক অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি ইমাম হোসেন স্বপনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।