শতবর্ষের পুরোনো সরকারি রাস্তা রক্ষায় সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

ঝালকাঠির রাজাপুরে মানুষের চলাচলের একমাত্র শতবর্ষের পুরোনো একটি সরকারি রাস্তা ভূমিদস্যু মামলাবাজের হাত থেকে রক্ষা করতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের বারবাকপুর গ্রামে বিরোধীয় ওই রাস্তার উপরে স্থানীয়রা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্থানীয় মো. জসিম উদ্দিন। জসিম উদ্দিন উপজেলার বারবাকপুর এলাকার মৃত আব্দুল কাদের ফরাজীর ছেলে। এ সময় শতাধিক স্থানীয় নারী-পুরুষ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, রাস্তাটি পূর্ব বাংলা প্রদেশের পক্ষে কালেক্টরের নামে রেকর্ড ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসকের নামে রেকর্ড আছে। ব্রিটিশ আমল থেকে জনগনের চলাচলের জন্য এই জায়গাটি দেয়া হয়েছিল। ৫০০ বিঘা ফসলি জমির চাষিরা তাদের জমিতে আসা যাওয়ার জন্য এই রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছিল।

কিন্তু স্থানীয় মৃত আব্দুল আলী আকনের ছেলে মো. কবির উদ্দিন আকন রাস্তাটি নিজের দাবী করে অবৈধভাবে ২২ বছর দখল করে রাখে এবং ওয়াল নির্মান করেন। ২০২৩ সালে স্থানীয়রা ভূমি কর্মকর্তার নিকট রাস্তার সিমানা নির্ধারনের আবেদন করেন। সরকারী সার্ভেয়ার জায়গা মেপে রাস্তাটির সীমানা নির্ধারন করে রাস্তার জায়গায় কবির উদ্দিনের থাকা স্থাপনা সরানোর নির্দেশ নিয়ে একটি নোটিশ দেন। কিন্তু কবির উদ্দিন নোটিশের তোয়াক্কা না করে সরকারী রাস্তার জমি নিজের দাবি করে কবির উদ্দিন আদালতে মামলা করেন। মামলায় কবির উদ্দিনের দাবিকৃত জমির দাগ নম্বর ও ওই রাস্তার দাগ নম্বর বিভিন্ন হওয়ায় মামলাটি বাতিল করে বিজ্ঞ আদালত। এরপর কিছুদিন চুপ থাকার পরে বর্তমানে রাস্তাটি গ্রাস করতে আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠে প্রশাসনকে ভুল বুঝাতে চেষ্টা করছে কবির উদ্দিন। এমনকি রাস্তার উন্নয়ন কাজে যারা জড়িত হয় তাদের বিভিন্ন হুমকি ও মিথ্যা মামলায় হয়রানি করছে সে। বর্তমানে এ থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয়রা ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় প্রশাসন সালিশ বৈঠকের পরামর্শ দিলে কবির উদ্দিন তা প্রত্যাখান করে। এমতবস্থায় গ্রামবাসীর এই প্রয়োজনীয় একমাত্র রাস্তাটি যেন কবির উদ্দিনের মতো লোকেরা অবৈধভাবে গ্রাস করতে না পারে সে জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা। অভিযুক্ত মো. কবির উদ্দিন আকন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, ‘এটা মাদ্রাসার জায়গা সরকারি জায়গা নয়। স্থানীয় মো. মনিরুজ্জামান মধু নিজের স্বার্থে টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে আমার বিরুদ্ধে এগুলো করছে যার প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে।’