ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী

পটুয়াখালীর দুমকীতে আট মাস আগে ধর্ষণের ঘটনায় এক কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুলাল খন্দকার নামে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। অবশেষে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে দুমকী থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত দুলাল খন্দকার উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বারেক খন্দকারের ছেলে। সে ৩ সন্তানের জনক। এ ঘটনা জানাজানি হলে গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী সাংবাদিকদের জানায়, অভিযুক্ত দুলাল জাল বা টেঁটা দিয়ে মাছ ধরতে তাদের ঘরের কাছে এসে মোবাইলে সিনেমা চালু করে দিয়ে যেত এবং বিভিন্ন ছলছুতায় তাদের বাসার আশপাশে ঘুরঘুর করত। গত শ্রাবণ মাসের তৃতীয় দিন হঠাৎ বৃষ্টি নামে এবং এ সময় কিশোরীর দাদী পাশের ঘরে পান আনতে যান। তাকে ঘরে একা পেয়ে দুলাল জোর করে ছবি তোলে ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে জানাতে চাইলে বাবা, দাদী, চাচা ও তাকে হত্যা করবে এমন হুমকি দিয়ে চলে যায়। ভয়ে কিশোরী এ নিয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি টের পেয়ে অভিযুক্ত দুলাল কিশোরীর গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। বর্তমানে সে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কিশোরীর বাবা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, মেয়েটির মা নেই, ওর দাদী কানে শোনে না এবং চোখে দেখে না। আমি গাড়ি চালাই, বাইরে থাকি। এ সুযোগ নিয়ে দুলাল আমার মেয়ের যে ক্ষতি করেছে তার উপযুক্ত বিচার চাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য জলিল হাওলাদার বলেন, ঘটনা লোক মারফত শুনে ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়েছিলাম। এরপর দুলালের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাইনি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ হান্নান জানান, এ ব্যাপারে মেয়ের বাবা কবির খন্দকার বাদী হয়ে দুমকী থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত দুলালকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত