ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করে শ্রীঘরে বাদী

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালগিরি গ্রামের কোহিনুর আক্তার। আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধার জন্য ভাড়াটিয়া হয়ে পুরুষদের নামে ধর্ষণ মামলা করাই তার পেশা। তবে এবার একটি মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় এখন জেলহাজতে রয়েছেন কোহিনুর। গত শনিবার দুপুরে কোহিনুর আক্তারকে চাঁদপুর আদালতে পাঠালে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার পালগিরি উত্তরপাড়ার বাড়ি থেকে কোহিনুরকে গ্রেফতার করেন কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিন্টু কুমার। মিন্টু কুমার বলেন, তথ্য নিয়ে জানতে পারি কোহিনুর একজন যৌনকর্মী। তিনি নাজির উল্লাহ স্বপনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। ওই মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত খারিজ করেন। পরে বাদী কোহিনুরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কচুয়া থানাকে অভিযোগটি মামলা আকারে নেওয়ার নির্দেশ দেন। সে আলোকে মামলাটি থানায় গ্রহণ করে কোহিনুরকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ধর্ষণ মামলার বাদী কোহিনুর। মামলায় তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের স্বামী দাবি করে যৌতুক মামলা করেন। তার এমন মিথ্যা ধর্ষণ মামলার শিকার একই উপজেলার রহিমানগর এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে নাজির উল্লাহ স্বপন। মামলার বাদী নাজির উল্লাহ স্বপন বলেন, আমার আপন ভাই বুলন এর সঙ্গে সম্পত্তিগত বিরোধ আছে। ওই বিরোধকে আমার ভাই কাজে লাগানোর জন্য যৌন কর্মী কোহিনুর আক্তারকে দিয়ে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলা করান। ওই মামলায় আমি তিন মাস কারাভোগ করে জামিনে মুক্ত হই। এরই মধ্যে আদালত আমার ডিএনএ টেস্ট করে ধর্ষণের আলামত পায়নি। ফলে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি মামলাটি খারিজ করেন আদালত। এরপর আমি নিজে তার বিরুদ্ধে একই আদালতে মার্চের ৪ তারিখে অভিযোগ করি। তার মামলার কারণে আমার আর্থিক, মানসিকভাবে হয়রানি ও সম্মান হানি হয়। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে অনেক পুরুষ হয়রানি থেকে রক্ষা পাবে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোহিনুর আক্তার নিজের স্বামী দাবি করে এ পর্যন্ত ঢাকা, কচুয়া ও শাহরাস্তির তিন ব্যক্তির নামে মামলা করেছেন। ১৫ মার্চ গ্রেফতারের পর সন্ধ্যায় শাহরাস্তির ব্যবসায়ী প্রদীপ সরকার নামে এক ব্যক্তি থানায় এসে নিজেকে কোহিনুরের স্বামী দাবি করেন। পরে এসআই মিন্টু কুমার তাকে বিয়ের কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য বললে তিনি আর আসেননি। কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা নাজিল উল্লাহ স্বপনের মামলাটি এফআইআরভুক্ত করি। ওই মামলায় শুক্রবার কোহিনুরকে গ্রেফতার করা হয়। গত শনিবার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।