ঢাকার ধামরাইয়ে ভূমিদস্যু, জুলুমকারী, অত্যাচারী কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ও তার সহযোগি বোরহান উদ্দিন মেম্বার এর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। গত শনিবার সকালে ধামরাই উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর যৌথ আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মানববন্ধনে চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ও মেম্বার বোরহান উদ্দিনকে জন প্রতিনিধি থেকে অপসারণ চেয়ে স্লোগান দিতে থাকে লোকজন। জানা যায়, চোরের অপবাদ দিয়ে রাস্তা থেকে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে জোর পূর্বক তুলে চেয়ারম্যানের বাড়ির ভিতরে নিয়ে গেট বন্ধ করে হাশিম আলী নামে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করে হাত-পা ভেঙ্গে দেন ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ও তার সহযোগী বোরহান উদ্দিন মেম্বার। এ ঘটনায় ৫দিন পর ৫ জনের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় মামলা হয়েছে। চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে ইউপি সদস্য বোরহান উদ্দিন, চেয়ারম্যানের দুই ছেলে মমিন ও রিপন এবং আব্দুল হকের নামে মামলা করেন ভুক্তভোগী হাসেমের ভাই জাহের আলী। গত ৫ মার্চ হাসেম আলীর উপর এমন অমানুষিক নির্যাতন চালায় চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান ও ইউপি সদস্য বোরহান উদ্দিনসহ চেয়ারম্যানের ছেলেরা। এ ঘটনায় ১ মিনিট ১৮ সেকেন্ড এর একটি ভিডিও সাামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর থানায় মামলা হয়। কিন্তু চেয়ারম্যাননহ ৫ জনই আগাম জামিনে এসে ভুক্তভোগীর পরিবারকে হুমকি দেয় বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী হাসেমের স্ত্রী হোসনে আরা ও মামলার বাদী জাহের আলী বলেন, চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান জোরপূর্বক আমার ভাইয়ের বাড়ী দখল করতে চায়। দির্ঘদিন চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি কিছুদিন আগে আমার ভাই হাসেমকে মেরে ফেলার জন্য রাস্তা থেকে উঠিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। আমরা শুনার পর চেয়ারম্যানের বাড়িতে গেলে আমাদের মারধর করে গেটের বাইরে বের করে দেয়। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে ভাইকে উদ্ধার করি। এখনো হাসেম ইসলামপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
