ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হিলিতে ৫০ টাকা কেজিতে নামল দেশি পেঁয়াজ

হিলিতে ৫০ টাকা কেজিতে নামল দেশি পেঁয়াজ

মোকামগুলোতে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলিতে ৫০ টাকা কেজিতে নামলো পেঁয়াজের দাম। ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে দাবি করছেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। গতকাল হিলিবন্দরের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, তিন দিন আগেও যে দেশীয় হালি পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন সেই পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা কমে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি দুই সপ্তাহে আগে পেঁয়াজ কিনে ছিলাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। গতকাল বাজারে এসে শুনি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে হচ্ছে। দাম কম হওয়ায় আমি ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনলাম। হিলি বাজারে সবজি কিনতে আসা সাদেক হোসেন বলেন, গতকাল আমি পেঁয়াজ কিনলাম ৫০ টাকা কেজি দরে। সেই পেঁয়াজ তিন আগে কিনেছি ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। গতকাল বাজারে এসে দেখি সবধরনের সবজির দামও কমে গেছে। গতকাল বাজার করে খুব ভালো লাগল। অনেক তরিতরকারির দাম কমেছে। হিলি বাজরের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মোকারম হোসেন জানান, আমরা পাইকারি বাজার থেকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৪৮ টাকা দরে কিনে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। তবে আগের তুলুনায় বেচাকেনা কমে গেছে। হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা রুবেল হোসেন বলেন, বর্তমানে মোকামে প্রকারভেদে ১৬ থেকে ১৭০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। কিন্ত তিন আগে মোকামে ২৭ থেকে ২৮০০ টাকা মণ কিনেছি। সেই পেঁয়াজেই তো এখনোও অনেকে বিক্রি করতে পারিনি। মোকাম থেকে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে আসতে না আসতেই বস্তাপ্রতি দুই থেকে তিন কেজি কমে যায়। এরপর বস্তাপ্রতি ১২০ টাকা পরিবহন খরচ দিতে হয়। সবমিলে ২০ থেকে ২৫ টাকা আমাদের লোকসান গুনতে হয়। তারপর যত ঝড় খুচরা ব্যবসায়ীদের উপর দিয়ে যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত