স্লুইচগেট দিয়ে নোনা পানি তোলার হিড়িক

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নওয়াবেকীসহ অধিকাংশ স্লুইচগেট ব্যবহার করে নোনা পানি তুলছে প্রভাবশালী ঘের মালিকরা। নওয়াবেকী, দুরমুজখালী, কুুলতলী, পাতাখালী, চন্ডীপুর, খুটিকাটা, মুন্সীগঞ্জ কলবাড়ী, চুনকুড়ী হরিনগর, টেংরাখালীসহ শ্যামনগরের বিভিন্ন স্থানে স্লুইজ গেট দিয়ে নোনা পানি তুলে চিংড়ি ঘের করছে প্রভাবশালীরা।

সরকারি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও প্রভাবশালী ঘের মালিকরা স্লুইচ গেটগুলো ব্যবহার করে নোনা পানি তোলায় পানি উন্নয়ন বাঁধের স্লুইচ গেট এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে পানি তুলছে বলে এলাকাবাসী জানান। কলবাড়ী স্লুইচ গেট দিয়ে নোনা পানি তোলায় নোনা পানির প্রভাবে নষ্ট হচ্ছে ধান, সবজির খেত, গাছগাছালী। পুকুরের মাছ মরে সাবাড় হচ্ছে। একই অবস্থা নওয়াবেকী এলাকায়। কাশিমাড়ী, আটুলিয়ায় অধিকাংশ ধানের জমিতে নোনা পানি উঠায় কৃষকরা ধান রোপণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, যে হারে স্লুইচ গেট দিয়ে পানি তোলা হচ্ছে তাতে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বড় জোয়ারে এসব বাঁধ ভেঙে গেলে আবার ও আইলার পরিণতির আশঙ্কা করেছেন। সচেতন মহল বিভিন্ন সামাজিক ও এনজিও সংস্থা নোনা পানি বন্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন। পাউবো কর্মকর্তারা পানি তোলার বন্ধের আশ্বাস দিলে ও বাস্তবে তা আমলে না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গাবুরার মেম্বার রবিউল জানান, আমার এলাকার খোলপেটুয়া ও কপোতক্ষ নদের বাধে কেটে পাইপ বসিয়ে নোনা পানি তোলা হচ্ছে। যে কারণে আবারও বড় ভাঙন দেখা দিতে পারে। চেয়ারম্যান আমজাদ একই মন্তব্যে করেছেন। চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, নোনা পানি বন্ধ হলে এলাকায় কৃষি বিপ্লব ঘটবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, অপরিকল্পিত ভাবে পাইপ বসিয়ে ও স্লইচ গেট দিয়ে নোনা পানি তোলায় মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন বিশাল জনগোষ্ঠী। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।