বহুল আলোচিত কুষ্টিয়ার কুমারখালির মাছ ব্যবসায়ী নান্নু মাতব্বরকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত অন্যতম প্রধান ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব-১২, সিপিসি-১ কুষ্টিয়ার কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার বিএন, এম আবুল হাশেম সবুজ জানান, গত ১৩ মার্চ ইফতার শেষ করে কুমারখালি উপজেলার উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম ওরফে নান্নু বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে কেশবপুরে তার ইজারা নেওয়া পুকুরের মাছ পাহারা দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। উত্তর চাঁদপুর এলাকায় পৌঁছালে সামাজিক দলাদলি ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে জোর করে পাশের একটি কলাবাগানে নিয়ে দুর্বৃত্তরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে, সেখানে তাকে পিটিয়ে ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ভিমটিমকে ভুট্টা খেতের মধ্যে ফেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এ হত্যার ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। হত্যার পরের দিন নিহতের ভাই বাদী হয়ে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। যার মামলা নং-১৫। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে হত্যাকারীরা আত্মগোপনে চলে যায়। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১২-এর সিপিসি-১, কুষ্টিয়া এবং র্যাব-৩, সিপিসি-৩-এর একটি যৌথ আভিযানিক দল র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় ‘ঢাকার খিলগাঁও এলাকায়’ একটি অভিযান পরিচালিয়ে আসামি সবুজ মো: বাবু এবং সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া আসামি সবুজ ও সুমনের নামে হত্যার চেষ্টা মামলাসহ আরো দুইটি করে মামলা রয়েছে। আসামিদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
