ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কয়রায় বোরোর খেতে পোকা ও ইঁদুরের আক্রমণ

হতাশ কৃষক
কয়রায় বোরোর খেতে পোকা ও ইঁদুরের আক্রমণ

চলতি মৌসুমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে বোরো চাষাবাদ শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত ধানের খেতগুলো সবুজে সবুজে ছেঁয়ে গেছে। ভালো ফলনের আশায় কৃষকের চোখে মুখে আনন্দের ছাপ দেখা দিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে ধানখেতে পোকা ও ইদুরের আক্রমণে কৃষকরা অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি জমি বোরো চাষাবাদের আওতায় এসেছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে চলতি বোরো মৌসুমে ৫ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে বোরোর চাষ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের ১ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে। বাগালী ইউনিয়নে ১ হাজার ১০ হেক্টর, কয়রা সদরে ১ হাজার ১০৫ হেক্টর, দক্ষিণ বেদকাশিতে ১ হজার ৭ হেক্টর, আমাদীতে ৯৯৫ হেক্টর, মহেশ্বরীপুরে ৪০০ হেক্টর ও মহারাজপুরে ৩০৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির ধানের মধ্যে রয়েছে ব্রিধান- ২৮, ৬৭, ৭৪, ৮১, ৮৮, ৮৯, ৯৯, ১০০, ১০২, ১০৪ বিনাধান-১০, ২৪, ২৫। হাইব্রিড ধানের মধ্যে রয়েছে হিরা, এসএম ৮৮, আত্তাপ, এসিআই, তেজ, শক্তি-২, রুপালী-৭। তবে বেশিরভাগ জমিতে কৃষক হাইব্রিড প্রজাতির ধানের চাষ করেছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে ধান খেতের অবস্থা মোটমুটি ভালো। মাঝেমধ্যে বৈরি আবহাওয়ার কারণে বেশকিছু ধান খেতের পাতা লালচে বর্ণ ও মাজড়া পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি ইদুরের আক্রমণে অধিকাংশ বোরের খেত ক্ষতির মুখে পড়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে কৃষকরা সবিক্রম, কাটাপ, আলটিমা প্লাস, নীল প্লাস, বিষ ও পটাশ প্রয়োগ করছেন। ৪নং কয়রা গ্রামের কৃষক হারুন অর রশিদ জানান, ধান খেতে পোকার উপদ্রব দেখা দেওয়ায় উপ-সহকারী কৃষি অফিসারের খোঁজখবর না পেয়ে কীটনাশক বিক্রেতাদের পরামর্শ নিয়ে কীটনাশক ব্যবহার করছি। কয়রা গ্রামের কৃষক বিশ্বজীৎ মন্ডল বলেন, ইদুরের আক্রমণে ধান খেতের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ইদুর মারার ফাঁদ ও ওষুধ প্রয়োগ করা সত্ত্বেও ইদুর নিধন করতে পারছি না। একদিকে পোকার আক্রমণ অন্যদিকে ইদুরের উপদ্রবে কৃষকরা দিন দিন হতাশ হয়ে পড়ছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: আব্দুল্ল্র্যাহ আল মামুন বলেন, আমার অফিসে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারের ২১টি পদ রয়েছে। বর্তমানে দায়িত্বরত আছেন ১৪ জন। তারা সবাই কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। জনবল সংকট থাকা সত্বেও আমরা সার্বক্ষনিক বোরো ধানের খেত পরিদর্শন করছি। সবকিছু মিলিয়ে কৃষকরা ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত