ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মাধবপুরে হঠাৎ বেড়েছে অপসাংবাদিকতা

মাধবপুরে হঠাৎ বেড়েছে অপসাংবাদিকতা

সিলেট বিভাগের প্রবেশদ্বার মাধবপুরে হঠাৎ করে অপসাংবাদিকতা বেড়ে গেছে। এসব অপসাংবাদিকতা সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি, সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত হয়ে পড়েছে। তাদের কারণে মূলধারার সাংবাদিকরা এখন বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছে।

তথাকথিত অপসাংবাদিকরা অনিবন্ধিত আইপিটিভি, অনলাইন নিউজপোর্টাল এবং যত্রতত্র ফেসবুকে লাইভ দিয়ে নিজেদের সাংবাদিক হিসেবে জাহির করছে। হোটেলের বয়, জমির দালাল, ভুমিদস্যুসহ বিভিন্ন অপরাধীরা এখন সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে শিল্পকারখানা, মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাসোয়ারা আদায় ও বালু মহালে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত হয়ে সাংবাদিকতার সুনাম নষ্ট করছে। অপসাংবাদিকতা করতে গিয়ে মাদকসহ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জাতীয় দৈনিকের মূলধারার সাংবাদিকরা এখন বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছে। প্রবীণ সাংবাদিক রাখাল দে জানান, মাধবপুরে সাংবাদিকতার সুস্থ ধারা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এখন কিছু লোক সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতা জড়িত হয়ে পড়েছেন।

এতে করে সাংবাদিকতার মানমর্যাদা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। এদের রোধ করতে প্রশাসন ও সচেতন মহলকে এগিয়ে আসতে হবে। মাধবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হাসান জানান, অপসাংবাদিকতার কারণে মাধবপুরের মূলধারার সাংবাদিকরা এখন বিব্রতকর অবস্থ্রা মধ্যে পড়েছে।

প্রায় দুই বছর ধরে মাধবপুরে অপসাংবাদিকতার সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদ সংগ্রহ কিংবা সৃজনশীল অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বলতে তাদের কোনো ধারণা নেই। সাংবাদিকতা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে তৎপর হতে হবে। মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুল ইসলাম খান জানান, সাংবাদিকতার আড়ালে কোনো ব্যক্তি অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত