ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সংবাদ প্রকাশের পর অবৈধ ইটভাটায় নামমাত্র অভিযান

সংবাদ প্রকাশের পর অবৈধ ইটভাটায় নামমাত্র অভিযান

গত বুধবার দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় কৃষিজমি নষ্ট করে চলছে, অবৈধ ইটভাটা শীর্ষক নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর পাবনার ঈশ্বরদীর প্রত্যন্ত অঞ্চল লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের অবৈধ ইটভাটায় নামমাত্র অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এতে ব্যাপক সমলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ৩টি ইটভাটায় নামমাত্র অভিযান চালানো হয়। অভিযানের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার টি.এম রাহসিন কবির। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩টি ইটভাটার মালিকদের মাত্র ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈশ্বরদী উপজেলায় মোট ইটভাটার সংখ্যা ৬৮টি। তবে এবছর এখন পর্যন্ত সচল করা হয়েছে মোট ৫২টি। এর মধ্যে নামমাত্র ৩টি ইট ভাটায় জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নে অবস্থিত মেসার্স পদ্মা ব্রিকসকে ৩০ হাজার টাকা, মেসার্স একতা ব্রিকসকে ৩০ হাজার টাকা এবং সেভেন স্টার ব্রিকসকে ২০ হাজার করে মোট ৮০ হাজার জরিমানা আদায় করা হয়। ঈশ্বরদী পৌর শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত পদ্মা নদীর তীরে লক্ষ্মীকুন্ডায় ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে এসব ইটভাটা। লক্ষ্মীকুন্ডার তিনটি গ্রাম কামালপুর, দাদাপুর ও বিলকেদার গ্রামে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কৃষিজমির ওপর এসব ইটভাটায় ইট পোড়ানো হয়। ভাটা নির্মাণের জন্য চিমনির উচ্চতা ও আনুষঙ্গিক যে নির্দেশনা রয়েছে তা অধিকাংশ ভাটা মালিকারা মানেননি। ভাটাগুলোতে জ্বালানি হিসেবে কয়লার পরিবর্তে কাঠ ব্যবহার হচ্ছে। এ সব ভাটায় কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হয়। এসব ভাটা দিয়ে নির্গত কালো ধোঁয়া অনবরত এলাকার পরিবশে দূষণ করছে। বেশির ভাগ ভাটার মালিকরা ইট তৈরির জন্য অবৈধ উপায়ে পদ্মার চর থেকে মাটি সংগ্রহ করে থাকেন। কাঠ দিয়ে এতোগুলো ভাটায় ইট পোড়ানোর ফলে পরিবেশ দূষণ এবং কৃষি ফসলের উপর প্রভাব পড়ছে। সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্স কিছুই দেয় না- ভাটার মালিকরা। ফ্রিতেই পরিবেশ দূষণ করে অবাধে এই ইটভাটাগুলো অবৈধভাবে কয়েক বছর ধরে পরিচালিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত