কদর বেড়েছে মহিষের দইয়ের

প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

চট্টগ্রামে সারাবছরই মিরসরাইয়ের মহিষের দইয়ের চাহিদা রয়েছে। তবে রমজান মাসে এর চাহিদা বেড়ে গেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত বেচাকেনা চলছে জমজমাট। মিরসরাই কলেজ রোডে রহমতাবাদ থেকে দই বিক্রি করতে আসা জাহেদুল ইসলাম জানান, প্রথমে এলাকার বিভিন্ন খামারির কাছ থেকে মহিষের দুধ সংগ্রহ করা হয়। এরপর সেই দুধ থেকে দই তৈরি করে বিভিন্ন বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন। অনেকে বিয়ে, জেয়াফত, আকিকা অনুষ্ঠানের জন্য অগ্রিম দইয়ের অর্ডার দেন। তবে রমজানে এর চাহিদা থাকে বেশি। মিরসরাই উপজেলার উপকূলীয় ইছাখালী ইউনিয়ন, বামনসুন্দর ও রহমতাবাদ এলাকা থেকে দই তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এখানকার দইয়ের স্বাদেও আছে কিছুটা ব্যতিক্রম। অন্যান্য এলাকার দই টক হলেও এখানকার দই হয় মিষ্টি। ইছাখালী এলাকার আরেক দই বিক্রেতা নুর নবী বলেন, আগের তুলনায় মহিষের দই অনেক কমে গেছে। শিল্প জোন হওয়ার কারণে মহিষের চারণভূমি না থাকায় এখন খামারে মহিষ রাখছেন না মালিকরা। যে খামারির কাছে আগে শতাধিক মহিষ ছিল, এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। দুধের দামও বেড়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, রমজান মাস উপলক্ষ্যে বেচাকেনা বেড়েছে। আবুরহাট, মিঠাছরা, মিরসরাই ও আবুতোরাব বাজারে আমি নিয়মিত দই বিক্রি করছি। আরেক বিক্রেতা নজরুল ইসলাম জানান, তারা প্রতিকেজি দুধ কেনেন ১০০ টাকা করে। আর দই তৈরি করে বিক্রি করেন ২৫০-৩০০ টাকায়। মাটির হাঁড়িতে দই বসানো হয়। যেকোনো অনুষ্ঠানের জন্য দই সরবরাহ করা হয়। স্কুলশিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, মিরসরাই উপজেলার উপকূলীয় এলাকার দই সাধারণত খাঁটি। এখানে কোনো ধরনের ভেজাল মেশানো হয় না। এখানকার দইয়ের বেশ কদর রয়েছে। মিঠাছরা বাজারে মহিষের দই কিনতে আসা নুরুল আফছার বলেন, রমজানে দই ছাড়া চলে না। ইফতারের পর আমরা পরিবারের সবাই এক গ্লাস করে দই খায়। খামারি শাহজালাল বলেন, আমাদের চরশরৎ এলাকায় আগে অনেকে মহিষ পালতো। তবে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে ওঠায় চারণভূমি কমে গেছে। এজন্য দিন দিন মহিষের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। অনেক খামারি এখন অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। মিরসরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ বলেন, মহিষের দই হজমে সহায়তা করে। প্রতিদিন এ দই খেলে হৃদরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।