লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে আহত লিটন মিয়া নামে বাংলাদেশি এক যুবকের ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি জানিয়েছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। নিহত লিটন মিয়া আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী এলাকার মোকছেদুল ইসলামের ছেলে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বরাত দিয়ে বিজিবি জানায়, নিহত লিটন আহত অবস্থায় বিএসএফের হেফাজতে কুচবিহার জেলা সদরের এমজেএম নামে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। পরে গত মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আখন্দ। তিনি বলেন, এ ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়। পরে গতকাল বিকালে দুর্গাপুর সীমান্তের নো ম্যানস্ ল্যান্ডে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর মধ্যে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নিহত বাংলাদেশির লাশ ময়নাতদন্তের পর সন্ধ্যা ৬টার পর ফেরত দেয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি। এর আগে গত মঙ্গলবার আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলার এলাকা দিয়ে রাত ৩টার দিকে ভারতীয় একদল গরু ব্যবসায়ীর সহযোগিতায় বাংলাদেশি ৪০-৫০ জন যুবক গরু পাচার করে আনার চেষ্টা করলে ভারতীয় জলপাইগুড়ি-৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বারথার ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা গুলি ছুড়ে। এ সময় বিএসএফের গুলিতে লিটন মিয়া ঘটনাস্থলে আহত হন। পরে বিএসএফ তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় আটক করে এবং সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
