কুমিল্লায় অর্ধেক দামেও তরমুজ কিনছে না ক্রেতারা

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অর্ধেক দামেও ক্রেতারা কিনছে না তরমুজ। রমজানের শুরুতে তরমুজের আকাশচুম্বি দামের ফলে নাকাল ছিল সাধারণ মানুষ। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও পরিবার নিয়ে তরমুজ খাওয়ার সুযোগ পায়নি অনেক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার। রমজানকে উপলক্ষ্যে করে অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার আশায় অপরিপক্ব তরমুজ বাজারজাত করেন। অনেক ক্রেতাই সে সময় কারণে বেশ চড়া দামে তরমুজ ক্রয় করলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী সেই কালার ও মিষ্টি না আসায় ঠকেছেন। এ ক্ষোভ থেকেই তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় এবং তা ভাইরাল হয়। এ সময় স্লোগান উঠে অন্তত এক সপ্তাহ তরমুজ না কিনে সেইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ জানানোর। কথা হয় তরমুজ ক্রেতা সকিনা বেগমের সঙ্গে- তিনি জানান, ‘শিশু নাতি সাইমনকে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে নাতি বায়না ধরে তরমুজ খাবে। শুনেছি এখানো এসব পরিপক্ব না হওয়ায় সুমিষ্ট না। তারপরও নাতির আবদারে ২০০ টাকা দিয়ে একটি কিনলাম।’

গতকাল দুপুরে চৌদ্দগ্রাম বাজারে সরেজমিন দেখা যায়, গত সপ্তাহেও যে তরমুজটি ৪০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেটি এখন হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দিয়ে ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি করলেও ক্রেতা নেই বললেই চলে। চৌদ্দগ্রাম বাজারের ওয়াপদা রোডের সম্মুখের বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম জানান, ‘পাকাপোক্ত না হওয়ায় বেশি দামে কেনা তরমুজ হ্যান্ড মাইকে ডেকে ডেকে অর্ধেক দামে বিক্রি করছি। তারপরও ক্রেতারা কিনতে চায় না।’ এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, ‘রমজান উপলক্ষ্যে কেজি মাপে তরমুজ বিক্রি রোধে এবং সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে উপজেলা প্রশাসন কয়েকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। এ সময় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীকে জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসন সব সময় সতর্ক রয়েছে।’