ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিলাশপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

বিলাশপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

কিছুক্ষণ পরপরই মুহুর্মুহু ককটেল বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে জাজিরার বিলাশপুরের কয়েকটি গ্রাম। সুযোগ পেলেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। একদিক পুলিশ থাকলে অপর দিক থেকে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে ককটেল ফাটিয়ে হামলা ভাঙচুর করা হচ্ছে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ওইসব এলাকার নারী-শিশুসহ অসুস্থ সাধারণ মানুষ। শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের পরাজিত প্রার্থী ও বিজয়ী চেয়ারম্যান সমর্থকদের চলমান সংঘর্ষের সময় এভাবেই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এসব ঘটনায় ৮/১০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও কয়েকজন আহত হলেও সর্বশেষ গত বুধবার রাত ১০টার দিকে ককটেল বোমার আঘাতে সজিব নামে এক যুবকের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে গেছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত সজিব মুন্সী (২৫) শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের মিয়া চান মুন্সী কান্দি গ্রামের মোহাম্মদ আলী মুন্সীর ছেলে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার করতে বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বেপারী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাজিরা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য জলিল মাদবরের সঙ্গে বিরোধ দীর্ঘদিনের। আধিপত্য বিস্তার করতে প্রায় সময়ই হঠাৎ করে দুই পক্ষের সমর্থকরা মুহুর্মুহ ককটেলের শব্দে পুরো ইউনিয়ন কাঁপিয়ে তোলে। গত মঙ্গলবার সকালে মিয়া চান মুন্সী কান্দি গ্রামের দুই চাচাত ভাই জমি জমার বিরোধ নিয়ে মারামারি করে। বিকালে ওই মারামারি আব্দুল কুদ্দুস বেপারী ও জলিল মাদবর গ্রুপের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে রাতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। খবর পেয়ে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের কয়েকটি টিম ওই এলাকায় টহলে থাকলেও বুধবার সন্ধ্যা থেকে আবারও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মিয়াচান মুন্সি কান্দি গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মাদবর ও মামুন মাদবরের বাড়িসহ অন্তত ১০টি বাড়ীতে ভাংচুর-লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের। এ সময় ককটেলের আঘাতে সজিব মুন্সী নামে একজন গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত