দাম অর্ধেক তবুও কেউ কিনছেন না তরমুজ

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমাস আলী, ঈশ্বরদী(পাবনা)

তরমুজ একটি সুস্বাদু ফল। আমাদের দেশে তরমুজের চাহিদা অনেক। পাবনার ঈশ্বরদীতে অর্ধেক দামেও ক্রেতারা কিনছে না তরমুজ। রমযানের শুরুর দিকে তরমুজের আকাশচুম্বি দামের ফলে নাকাল ছিলো সাধারণ মানুষ। ইচ্ছে থাকা স্বত্ত্বেও পরিবার নিয়ে তরমুজ খাওয়ার সুযোগ পায়নি নিম্ম থেকে মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের।

রমজানকে উপলক্ষ্য করে অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার আশায় অপরিপক্ক তরমুজ বাজারজাত করেন। অনেক ক্রেতাই ওই সময় বেশ চড়া দামে ৮০ টাকা কেজি দরে তরমুজ ক্রয় করলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী সেই কালার ও মিষ্টি না আসায় ঠকেছেন। এ ক্ষোভ থেকেই তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় এবং তা ভাইরাল হয়। এ সময় স্লোগান উঠে অন্তত এক সপ্তাহ তরমুজ না কিনে সেইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ জানানোর। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন হাট থেকে বাজারে সরেজমিন দেখা যায়, গত সপ্তাহেও যে তরমুজটি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেটি এখন ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করলেও ক্রেতা নেই বললেই চলে। কথা হয় তরমুজ ক্রেতা রাশিদা বেগমের সঙ্গে, তিনি জানান, ‘শিশু নাতি আবিরকে ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে নাতি বায়না ধরে তরমুজ খাবে। শুনেছি এখানো এসব পরিপক্ক না হওয়ায় সুমিষ্ট না। তারপরও নাতির আবদারে ২০০ টাকা দিয়ে একটি কিনলাম।’

উপজেলার আওতাপাড়া বাজারে তরমুজ বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম জানান, রমজানের শুরুতে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করলেও এখন তা অর্ধেকে নেমে এসে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তারপরও ক্রেতা নেই নেই বললেই চলে। ‘ক্রেতা ডেকে ডেকে অর্ধেক দামে বিক্রি করছি। তারপরও ক্রেতারা কিনতে চায় না।’ ‘রমজান উপলক্ষ্যে কেজি মাপে তরমুজ বিক্রি রোধে এবং সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে উপজেলা প্রশাসন কয়েকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। এ সময় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন অসাধু তরমুজ ব্যবসায়ীকে জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়েছে। তারপরও হাট থেকে বাজারে কেজি মাপে তরমুজ বিক্রি বন্ধ হয়নি। তবে অর্ধেক দামে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে তারপরও ক্রেতা কম। রমজানের শুরুতে উপজেলার হাটবাজারে যে তরমুজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে সেই সেই তরমুজ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।