ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ষড়যন্ত্রের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করছেন

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ষড়যন্ত্রের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করছেন

ফরিদপুরের মধুখালীতে ন্যায্যমূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রির উদ্বোধনকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ আব্দুর রহমান বলেছেন, নানা ষড়যন্ত্র চক্রান্তের মধ্যে দিয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

পবিত্র মাহে রমজানে তারই অংশ হিসেবে দেশের খেটে খাওয়া মানুষের কল্যাণে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় স্বল্পমূল্যে দুধ ও ডিম এবং কোথাও গোস্ত বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গতকাল সকাল ১১টায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মধুখালী পৌর বাজার সংলগ লোকাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উদ্বোধনকালে মন্ত্রী আব্দুর রহমান এসব কথা বলেন। এখানে ১০০ টাকায় ১১টি ডিম, ৭০ টাকায় এক লিটার দুধ ও ৬০০ টাকায় ১ কেজি গরুর মাংস কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ। মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে ২৫টি স্পটে এ কার্যক্রম চালুর পরে এখন ৩২টি স্পটে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে। এখন রাজধানীর বাইরে ১৮টি জেলায় এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। মধুখালীতে ৭ দিন ব্যাপী (৫ এপ্রিল পর্যন্ত) এ কার্যক্রম চালু থাকবে। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেন, নিম্নআয়ের মানুষের কথা বিবেচনা করে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনেকে রয়েছেন মাসে এককেজি গরুর মাংসও কিনে খেতে পারেন না। এসব অভাবি মানুষরা যাতে এখানে এই গরুর মাংস, দুধ ও ডিম কিনতে পারেন, সেদিকেও সকলে দৃষ্টি রাখবেন। এ সময় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস, উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমেদ অনিক, পৌর মেয়র মোর্শেদ রহমান লিমন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ ডা. সুদেব কুমার দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকুসহ উপস্থিত ছিলেন।

একইদিনে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ঘুর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান। এসময় আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন ইয়াসমিন জানান, প্রথম দফায় ৫০টি পরিবারের মাঝে এক বান করে টিন ও ১৫০ টি পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়। শুকনা খাবারের মধ্যে চাল, ডাল, খেজুর ও ইফতার সামগ্রী রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বুধবার দিবাগত রাত দেড় টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ, বানা ও পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নে ২৫ টি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে শতাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত