নাটোরের নলডাঙ্গায় জমি-সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইয়ের কোদালের আঘাতে জিল্লুর রহমান নামে এক স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নলডাঙ্গা থানার কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জিল্লুর রহমান উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মৃত মোজাহার আলীর ছেলে। তিনি নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার থল ওলমা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (মৌলভি) হিসাবে কর্মরত ছিলেন। আটক আহাদ আলী একই গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের রেজাউল, রহিদুল ও জিল্লুর রহমানের সঙ্গে আপন চাচাতো ভাই আবেদ আলী, হামেদ ও সামাদের দীর্ঘদিন ধরে জমি-সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জেরে গত শুক্রবার দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষে লাঠিসোঁটা, কোদাল, হাসুয়া নিয়ে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে জিল্লুর রহমান-সহ দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ সময় দুই পক্ষকে থামাতে গিয়ে প্রতিপক্ষ চাচাতো ভাইয়েরা তার মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর জখম হন তিনি। এ অবস্থায় আত্মীয়-স্বজনরা জিল্লুর রহমানসহ আহতদের উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে জিল্লুর রহমানকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে গতকাল সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ওসি মনোয়ারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় গতকাল নিহতের ভাই খোরশেদ হোসেন বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ একজনকে আটক করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।
