কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

অ্যাম্বুলেন্স আছে নেই ড্রাইভার

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত এক বছর অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার না থাকায় রোগী পরিবহণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে জনসাধারণের। সময়মতো অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় রোগী পরিবহণে বাইরের ক্লিনিকের অ্যাম্বুলেন্সের উপর ভরসা করতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। সে ক্ষেত্রে বাড়তি টাকাও গুনতে হচ্ছে তাদের। যে কারণে কেশবপুরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি যশোর-খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত হওয়ায় এর গুরুত্ব অপরিসীম। কেশবপুর ছাড়াও পাশ্ববর্তী মণিরামপুর, তালা ও কলারোয়া উপজেলা থেকেও প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ শত রোগী আসেন এখানে চিকিৎসা নিতে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার না থাকায় মুমূর্ষু রোগীদের পরিবহণে স্বজনদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। সে ক্ষেত্রে তাদের বাইরের ক্লিনিক থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে গুণতে হয় বাড়তি টাকা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২টি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ১ জন ড্রাইভার ছিলেন। তিনি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ায় প্রায় ১ বছর কোনো ড্রাইভার নিয়োগ হয়নি। উপজেলা নাগরিক সমাজের আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার না থাকায় আশঙ্কাজনক রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করতে অভিভাবকদের রীতিমত বিড়াম্বনায় পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে অনেক রোগীর জীবন সংশয় হয়ে পড়ে। তিনি মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার কারণে দীর্ঘসময়েও ড্রাইভার নিয়োগ হয়নি। দ্রুত ড্রাইভার নিয়োগ করে এ সমস্যার সমাধান করার দাবিও করেন তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। ড্রাইভার চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করায় প্রায় ১ বছর পদটি শূন্য হয়ে রয়েছে। আশঙ্কাজনক রোগীদের দ্রুত অন্যত্র স্থানান্তর করতে মাঝেমধ্যে তার গাড়ির ড্রাইভার দিয়ে রোগী পরিবহন করা হয়। এরপরও রোগী পরিবহণে অন্যত্র থেকে অ্যাম্বুলেন্স আনতে রোগীর স্বজনদের সহযোগিতা করা হয়ে থাকে। তিনি আরো বলেন, ড্রাইভার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।