ঢাকা ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈশ্বরদীতে সাথী ফসল চাষাবাদ নিয়ে মাঠদিবস

ঈশ্বরদীতে সাথী ফসল চাষাবাদ নিয়ে মাঠদিবস

ঈশ্বরদীসহ বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে এবং আখের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে ডাল, মসলা ও সবজির উৎপাদনের লক্ষ্যে মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের অর্থায়ণে ঈশ্বরদী উপজেলার এক নম্বর সাঁড়া ইউনিয়নের মাজদিয়া গ্রামে গতকাল বিকেলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণায় ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো: আবু তাহের সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো: ওমর আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসআরআইয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ড. মো: আতাউর রহমান, মৃত্তিকা ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গাজী মো: আকরাম হোসেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কৃষি প্রকৌশল বিভাগের প্রধান ড. মো: আনিসুর রহমান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণ প্রযুক্তি হস্তান্তর বিভাগের প্রধান মো: হাসিবুর রহমান।

বক্তব্য রাখেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: রাশেদুল ইসলাম এবং কৃষক সোলাইমান। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান। এই মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশে ৭০ জন কৃষক-কৃষানি উপস্থিত ছিলেন। উপলক্ষ্যে, আখ একটি দীর্ঘমেয়াদি ফসল। সুগার ক্রপ রিসার্চ ইনস্টিটিউট সংশ্লিষ্টরা জানান, আখ বাংলাদেশের খাদ্য ও শিল্পে ব্যবহার্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অর্থকরী ফসল, যা জমিতে প্রায় ১৩-১৪ মাস থাকে। উপরন্তু তুলনামূলকভাবে আখের মূল্য না বাড়ার কারণে কৃষকরা আখ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। ফলে দিন দিন আখ চাষের জমির পরিমাণও কমে যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে সার্বিকভাবে দেশের চিনিশিল্পের ওপরে। তাই আখ ফসলকে এ বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য আখের সঙ্গে আরেকটি স্বল্পমেয়াদি ফসল চাষ করে কৃষক ও এই শিল্পকে রক্ষা করার জন্য এই প্রকল্প গঠন করা হয়েছে। আখের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে মটরশুঁটি, ছোলা, মসুর, মুগ, আলু, কপি, মসলাজাতীয় ফসলের মধ্যে পেঁয়াজ, রসুন চাষ করা হচ্ছে।

বিএসআরআইর মহাপরিচালক ড. মো. ওমর আলী বলেন, আখ চাষে দুই সারির মধ্যবর্তী স্থানের ফাঁকা জমি অব্যবহৃত হয়ে পড়ে থাকে। ওই ফাঁকা জমিতে সাথি ফসল হিসেবে ডাল, মসলা, সবজি চাষ করে কৃষকদের আর্থিকভাবে লাভবান করানোই হচ্ছে এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। প্রথম বছর সফলতার সঙ্গে প্রকল্পের কাজসম্পন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় বছরে তারই ধারাবাহিকতায় প্লট স্থাপনের কাজগুলোসম্পন্ন হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত